চড়া সুদ দিয়ে ভারতকে চাপে ফেলতে চাইছেন ট্রাম্প। কিন্তু আদতে এতে আমেরিকারও ক্ষতির সম্ভাবনা প্রবল। এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকরা। ভারত থেকে আমেরিকায় বিপুল পরিমাণে কাপড়, ওষুধ, ইঞ্জিনিয়ারিং সামগ্রী এবং কৃষিপণ্য রফতানি হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, Trump Tariff এর ফলে এই পণ্যগুলিতে লাভের মার্জিন কমে যেতে পারে। তাই দাম বাড়াতে বাধ্য হবেন রফতানিকারকরা। ফলে আমেরিকায় যাঁরা ভারতীয় পণ্য কিনবেন, আখেরে পকেটে টান পড়তে চলেছে তাঁদেরই।
৭ অগাস্ট ২০২৫। ভারতে বেশ কিছু প্রোডাক্টের উপর ২৫% শুল্ক আরোপ করে আমেরিকা। আগামী ২৭ অগাস্ট থেকে আরও অতিরিক্ত ২৫% শুল্ক আরোপ করা হবে বলেও ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প।
সেদেশের বাসিন্দারাও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন
শুরুতেই বলা হয়েছে, আমেরিকার এই শুল্ক জটে আখেরে সেদেশের মানুষই জড়িয়ে পড়তে পারেন। শেষ পর্যন্ত তাঁদেরই বেশি দাম দিয়ে ভারতীয় জিনিস কিনতে হতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই ট্রাম্পের এই শুল্ক আরোপ নিয়ে আমেরিকায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেক জায়গায় প্রতিবাদও হয়েছে।
সম্প্রতি একজন এনআরআই সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম রেডিটে এই শুল্ক আরোপের প্রভাব জানতে চেয়ে একটি পোস্ট করেন।
তিনি লিখেছেন, 'আমি কোথাও একটা পড়ছিলাম যে প্যাটেল ব্রাদার্সের(আমেরিকায় জনপ্রিয় ভারতীয় মুদি দোকান) মতো বড় বড় কোম্পানিগুলি এই ট্যাক্সের প্রভাব এড়াতে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশ(ভারতের বদলে) থেকে ডাল, শস্য এবং মশলার আমদানি করছে। আপনার শহরেও কি এমন কিছু হচ্ছে?'
উত্তরে অনেকেই জানিয়েছেন যে, আমেরিকার বিভিন্ন দোকানে ভারতীয় প্রোডাক্টের দাম বেড়ে গিয়েছে। যেমন, একজন লিখেছেন, 'দাম বাড়ছে। তাছাড়া ভারতের খাদ্যশস্য, মশলার মানই আলাদা। বাংলাদেশ বা অন্য দেশ থেকে আসা জিনিসের সঙ্গে তুলনাই হয় না। ব্যক্তিগত মতামতটুকু জানালাম।'
ভারত আমেরিকায় কী কী রফতানি করে?
শুধুমাত্র গত অর্থবর্ষেই ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৮৭.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে জিনিস রফতানি করেছে। এর মধ্যে যেমন চিকিৎসার সরঞ্জাম রয়েছে, তেমনই স্মার্টফোন, গয়না, টেক্সটাইল, জামাকাপড়, গাড়ির যন্ত্রাংশ এবং রাসায়নিক পণ্যও রয়েছে। ফলে ভারতের প্রোডাক্টের দাম বাড়ানোয় শেষ পর্যন্ত আমেরিকাতেই ক্রেতাদের পকেটে টান পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।