Trump Sharif Meet: ট্রাম্পকে খুশি করতে শরিফ, মুনিররা কী করলেন? VIRAL, পুরো দেশটাই প্রায় বেচে দিচ্ছেন

বন্ধু’ বেশে পিঠে ছুরি মারার ছক আর গোপন নেই। ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখোশ খুলে গিয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে দোস্তি ও বাংলাদেশের সঙ্গ সখ্য, একেবারে খোল্লামখুল্লা।

Advertisement
ট্রাম্পকে খুশি করতে শরিফ, মুনিররা কী করলেন? VIRAL, পুরো দেশটাই প্রায় বেচে দিচ্ছেনছবি: হোয়াইট হাউস।
হাইলাইটস
  • বন্ধু’ বেশে পিঠে ছুরি মারার ছক আর গোপন নেই।
  • পাকিস্তানের সঙ্গে দোস্তি ও বাংলাদেশের সঙ্গ সখ্য, একেবারে খোল্লামখুল্লা।
  • আমেরিকাকে নিজেদের ‘রেয়ার আর্থ মিনারেল’ এর সম্ভার দেখাচ্ছে পাকিস্তান।

বন্ধু’ বেশে পিঠে ছুরি মারার ছক আর গোপন নেই। ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখোশ খুলে গিয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে দোস্তি ও বাংলাদেশের সঙ্গ সখ্য, একেবারে খোল্লামখুল্লা। ট্রাম্প যে পাকিস্তানকে ভারতের বিরুদ্ধে ক্রমাগত উস্কে চলেছেন, তার আবার প্রমাণ মিলল পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ, পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সঙ্গে ট্রাম্পের খোশগল্প, আড্ডা। হোয়াইট হাউস থেকে প্রকাশিত নতুন ছবিতে দেখা যাচ্ছে, পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির হাতে একটি কাঠের বাক্স। আর সেই বাক্সের ভিতরে রাখা বিভিন্ন পাথরের নমুনা তিনি নিজে হাতে দেখাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। পাশে দাঁড়িয়ে শেহবাজ শরিফ। আমেরিকাকে নিজেদের ‘রেয়ার আর্থ মিনারেল’ এর সম্ভার দেখাচ্ছে পাকিস্তান।

এই খনিজকে কেন্দ্র করেই নয়া খেলায় নামতে চলেছে ইসলামাবাদ। এদিনের ছবি থেকেই তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। এদিন যে পাথরগুলির নমুনা দেখাচ্ছিলেন মুনির, সেগুলি বস্তেনজাইট ও মনাজাইটের। এই পাথরগুলির মধ্যেই সেরিয়াম, ল্যান্থেনাম, নিওডিমিয়ামের মতো দুর্লভ খনিজ পাওয়া যায়। আর তার দিকেই নজর আমেরিকার।

দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তান দাবি করছে যে, বালুচিস্তান আর খাইবার পাখতুনখোয়া অঞ্চলে এই দামী 'রেয়ার আর্থ মিনারেলসে'র ভাণ্ডার আছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এর কোনও কমার্শিয়াল প্রুফ দিতে পারেনি পাকিস্তান। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেই যে সেই বিরল খনিজ বিক্রির টার্গেট নেওয়া হয়েছে, তা এদিনের ছবিগুলি থেকে স্পষ্ট।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমেরিকা ও পাকিস্তানের এই চুক্তি হলে তা চিনের জন্য বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। কারণ, এখনও পর্যন্ত রেয়ার আর্থ সাপ্লাইয়ের মার্কেটের দখল রয়েছে বেজিংয়েরই হাতে। পাকিস্তানের ‘বন্ধু’ চিন বহু বছর ধরেই সিপেক প্রকল্পের মাধ্যমে ইসলামাবাদে বিনিয়োগ করছে। এনার্জি থেকে শুরু করে পরিকাঠামো, সব ক্ষেত্রেই চিনের ভরসাতেই চলছে পাকিস্তান। আর সেই বালুচিস্তানের ভূগর্ভস্থ সম্পদেই এবার যদি আমেরিকা প্রবেশাধিকার পায়, তা হলে তা চিনের জন্য সরাসরি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।

এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক স্তরে আরও একটি খেলা চলছে। ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে পাকিস্তান। ব্রিটিশ-পাকিস্তানি ব্যবসায়ী বিলাল বিন সাকিবকে অনানুষ্ঠানিক ভাবে ‘ক্রিপ্টো মন্ত্রী’ বানিয়েছে ইসলামাবাদ। হোয়াইট হাউসের বৈঠকে তিনি ট্রাম্পের ক্রিপ্টো উপদেষ্টার সঙ্গে একান্ত বৈঠকও করেন। পরে রাষ্ট্র সংঘে শেহবাজ শরিফের ভাষণ চলাকালীনও ক্রিপ্টো প্রচারে উঠেপড়ে লাগেন।

Advertisement

এই সব মিলিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, পাকিস্তানের এই নতুন কূটনৈতিক চাল কি কেবল অর্থনীতির খাতিরেই? নাকি এগুলি  ভারতের বিরুদ্ধে চাপ তৈরির কৌশল মাত্র? ট্রাম্পের সঙ্গে পাকিস্তানের এই ঘনিষ্ঠতা যতই বাড়বে, দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক সমীকরণও ততটাই বদলে যাবে, মত বিশ্লেষকদের।

POST A COMMENT
Advertisement