জাপানের একাধিক উপকূলে আছড়ে পড়ল সুনামি। সোমবার জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। একটি নয়, একাধিক। সেই দেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, পাঁচ ফুট পর্যন্ত সুনামির ঢেউ আছড়ে পড়ে। সতর্কতা জারি করা হয়েছে সেই দেশের আবহাওয়া দফতরের তরফে। ইতিমধ্যেই সুনামির জলোচ্ছ্বাস শুরু হয়েছে। দেশটির উত্তর-পশ্চিম উপকূলের মানুষজনকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জাপানের আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পটি ইশিকাওয়া এবং আশপাশের এলাকায় আঘাত হানে। যার মধ্যে রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৭.৬। স্থানীয় আবহাওয়া সংস্থার মতে, ভূমিকম্পের পর ইশিগাওয়ার নোটোর কেন্দ্রস্থলের ৩০০ কিলোমিটারের মধ্যে সুনামির ঢেউয়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল।
স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ০৬ মিনিটে ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের মাধ্যমে ভূমিকম্প শুরু হয়। এরপর বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে (স্থানীয় সময়) ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়, বিকেল ৪টা ১৮ মিনিটে (স্থানীয় সময়) ৬.১ মাত্রার ভূমিকম্প হয়, বিকেল ৪টা ২৩ মিনিটে (স্থানীয় সময়) ৪.৫ মাত্রার একটি, ৪.৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়।
আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, রিখটার স্কেলে ৪.০-র থেকে বেশি তীব্রতার ২১টি ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের সবচেয়ে বেশি তীব্রতা মাপা হয়েছে ৭.৬। সাগরে উচ্চ ঢেউয়ের পর দেশের উত্তর-পশ্চিম উপকূলীয় এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
জাপানের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, নোটো শহরে একটি বড় সুনামির সতর্কতা জারি হয়েছে। ধারাবাহিক ভূমিকম্পের পর ৩৪ হাজার বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। মধ্য জাপানের অনেক বড় সড়ক বন্ধ করে দিতে হয়। কারণ, ভূমিকম্পের ফলে রাস্তাগুলিতে বড় ফাটল দেখা যায়। ফায়ার ডিপার্টমেন্ট এবং ফুকুই প্রিফেকচারের স্থানীয় সরকারের মতে অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। সবাই ছোটখাটো আঘাত পেয়েছেন। রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাশের মতে, জাপানের কাছাকাছি অবস্থিত দেশটির পশ্চিম উপকূলের কিছু অংশ সুনামির ঝুঁকিতে রয়েছে এবং স্থানীয় জনগণকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে ভূমিকম্পের জন্য জাপানের একাধিক জায়গাতে রেল পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে। টেলিকম অপারেটররা ইশিকাওয়া এবং নিগাতায় ফোন এবং ইন্টারনেট পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার কথা জানিয়েছেন। আবার ভূমিকম্পের জেরে জাপানে একটি ভবন ধসে পড়তে দেখা যায়। কানাজাওয়া শহরের বাসিন্দাদের টেবিলের নিচে লুকিয়ে থাকতে দেখা যায়। ভূমিকম্পে রাজধানী টোকিওর ভবনগুলোও কেঁপে ওঠে।