মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের উপর ক্রমাগত আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছেন। আর এই আবহেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নয়াদিল্লির পাশে দাঁড়ালেন, সেইসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার বললেন। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ভারতকে ইউক্রেনের সঙ্গী হিসাবে বর্ণনা করেছেন এবং ইউরোপকে নয়াদিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, পশ্চিমের জোটকে ভারতকে নিজেদের দিকে আনতে হবে। জেলেনস্কির এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে যখন মঙ্গলবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেওয়ার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতকে ইউক্রেনের যুদ্ধে অর্থায়নের জন্য অভিযুক্ত করেছেন।
ট্রাম্প ভারত ও চিনকে জ্বালানি ক্রয়ের মাধ্যমে রাশিয়ার যুদ্ধে অর্থায়নের জন্য অভিযুক্ত করলেও জেলেনস্কি বলেন , ভারত সম্পূর্ণরূপে আমাদের পক্ষে। ফক্স নিউজে একটি বিশেষ সাক্ষাৎকারে, জেলেনস্কিকে রাশিয়ার জ্বালানি ক্রয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, 'ইরান কখনই আমাদের পক্ষে থাকবে না। তবে আমি মনে করি ভারত সম্পূর্ণরূপে আমাদের পক্ষে। আমাদের অবশ্যই জ্বালানি নিয়ে সমস্যা আছে, তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেগুলি সমাধান করতে পারেন।'
ভারতকে সঙ্গে রাখার প্রয়োজনীয়তা
রাশিয়ার সঙ্গে জ্বালানি সম্পর্কের টানাপোড়েন সত্ত্বেও ইউক্রেনের প্রিসেডন্ট নয়াদিল্লির সঙ্গে যোগাযোগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইউরোপের উচিত ভারতের সঙ্গে আরও শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং ভারতীয়দের থেকে দূরে সরে না যাওয়া। জেলেনস্কি বলেন, 'আমাদের অবশ্যই ভারত থেকে দূরে সরে না যাওয়ার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে এবং তারা রাশিয়ান জ্বালানি খাতের প্রতি তাদের মনোভাব পরিবর্তন করবে।'
ট্রাম্প ভারতকে দোষারোপ করেন
এদিকে, নিউইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে ট্রাম্প ভারত ও চিনকে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রধান অর্থদাতা হিসেবে অভিযুক্ত করেছেন। তিনি উভয় দেশের রাশিয়া থেকে তেল ক্রয় অব্যাহত রাখার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। ট্রাম্প ন্যাটো সদস্যদেরও লক্ষ্য করে বলেছেন, 'এটা অমার্জনীয় যে ন্যাটো দেশগুলি রাশিয়ান জ্বালানি নেওয়া ব্যাপকভাবে কমিয়ে দেয়নি। একবার ভাবুন - তারা নিজেদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অর্থায়ন করছে।'