আমেরিকা তেল ট্যাঙ্কার আটকাতেই কড়া বিবৃতি চিনেরমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আক্রমণের মুখে পড়েছে ভেনেজুয়েলা। সম্প্রতি আমেরিকা ভেনেজুয়েলার তেল ট্যাঙ্কারগুলি আটক করায় দেশটির ব্যাপক পরিমাণে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভেনেজুয়েলার পাশে দাঁড়াল চিন। তেল ট্যাঙ্কার আটক করার বিষয়ে মার্কিন পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে চিনের বিদেশ মন্ত্রক।
আমেরিকার এহেন কাজকে 'স্বেচ্ছাচারী পদক্ষেপ'ও আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন বলে দাবি করেছে চিন। সোমবার একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র লিন জিয়ান এই বিবৃতি দেন। তিনি বলেন, " বিদেশী জাহাজকে এভাবে আটক করা আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন।"
বিষয়টির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, "চিন সবসময়ই অবৈধ একতরফা নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করে। আন্তর্জাতিক আইনে কোন ভিত্তি নেই এবং রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন নেই এমন কাজের বিরোধিতা করে এসেছে চিন।"
লিন আরও বলেন, "ভেনেজুয়েলার অন্যান্য দেশের সঙ্গে স্বাধীনভাবে পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার অধিকার রয়েছে। চিন বিশ্বাস করে আন্তর্জাতিক মঞ্চগুলিও ভেনেজুয়েলার বৈধ অধিকার এবং স্বার্থ রক্ষার অবস্থান বোঝে এবং সমর্থন করে।"
উল্লেখ্য, ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে মার্কিন সামরিক পদক্ষেপ চিনের জন্যও উদ্বেগের বিষয়। কারণ বেজিং এবং কারাকাসের মধ্যে কয়েক দশক ধরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। চিন ভেনেজুয়েলার অপরিশোধিত তেলের বৃহত্তম ক্রেতা এবং ভেনেজুয়েলাকে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি ঋণ দিয়েছে এই চিনই। ২০১০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে যে দেশগুলিতে চিন সবচেয়ে বেশি টাকা ঢেলেছে, সেই তালিকায় ৩ নম্বরে রয়েছে ভেনেজুয়েলা। এমনকি আমেরিকা মহাদেশে চিনের মোট অস্ত্র বিক্রির প্রায় ৮৬ শতাংশ কেনে ভেনেজুয়েলাই। ফলে চিন যে মার্কিন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সরব হবে, তা জানাই ছিল। কার্যক্ষেত্রে হলও তাই।