পাকিস্তানকে উন্নত AIM-120 এয়ার টু এয়ার মিসাইল বিক্রির অনুমোদনের কথা অস্বীকার করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এনিয়ে নানা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনকে ভিত্তিহীন বলেছে তারা। মার্কিন দূতাবাস এই ধরনের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলিকে মিথ্যা বলে অভিহিত করেছে। তারা বলেছে যে এই উল্লেখিত চুক্তির মঝ্যে পাকিস্তানকে নতুন উন্নত মাঝারি-পাল্লার এয়ার টু এয়ার মিসাইল সরবরাহের জন্য নয়। তবে মজার বিষয় হল, দূতাবাস জানিয়েছে যে মিডিয়া রিপোর্টে উল্লেখিত চুক্তিটি পাকিস্তান সহ বেশ কয়েকটি দেশের জন্য রক্ষণাবেক্ষণ এবং খুচরা যন্ত্রাংশ সরবরাহের জন্য। এর অর্থ হতে পারে যে চুক্তিতে পাকিস্তানের মিসাইল মজুত বাড়ানোর বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
গত কয়েকদিন ধরে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে যে পাকিস্তান সম্ভবত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে AIM-120 AMRAAM মিসাইল পেতে পারে। যা আমেরিকার থেকে কেনা F-16 যুদ্ধবিমানে মোতায়েন করা যায়। ২০১০ সালে আমেরিকা থেকে F-16 ব্লক 52 যুদ্ধবিমান কেনে পাকিস্তান। সেই বিমানগুলির সঙ্গে AIM-120C-5 মিসাইলও কিনেছিল ইসলামাবাদ। সেই মিসাইলেরই উন্নত সংস্করণ হল AIM-120D। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলি জল্পনাকে আরও উস্কে দিয়েছে যে পাকিস্তানের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রস্তাব দিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে, মার্কিন দূতাবাসের বিবৃতিটি সেই বর্ণনাকে সরাসরি খণ্ডন করেছে। তারা স্পষ্ট করে বলেছে যে চুক্তিটি বিদ্যমান ব্যবস্থাগুলিকে উন্নত করার পরিবর্তে সমর্থন করার জন্য।
এই চুক্তির অধীনে, আমেরিকান কোম্পানি রেথিয়নকে AIM-120C8 এবং D3 সংস্করণের মিসাইল তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মোট চুক্তির মূল্য প্রায় ২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটি সম্পন্ন করার সময়সীমা ২০৩০ সালের ৩০ মে। এই কোম্পানি পাকিস্তান, তুরস্ক এবং অন্যান্য মার্কিন মিত্র দেশগুলির জন্য AMRAAM তৈরি করবে। এর ফলে চুক্তির মোট মূল্য প্রায় ২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। মার্কিন দূতাবাস জোর দিয়ে বলেছে যে চুক্তিটি পাকিস্তানের বিমান বাহিনীকে কিছু বিক্রি হবে না বা তাদের সক্ষমতাও বৃদ্ধি করবে না। মার্কিন প্রতিরক্ষা ক্রয়ের ক্ষেত্রে এই ধরনের ঘোষণা একটি আদর্শ পদ্ধতি, যা বিভিন্ন দেশে আপডেট, খুচরা যন্ত্রাংশ এবং রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত করে।