US Trump Tariff: ট্যারিফ-হুমকি দিয়েই নাকি ভারত-পাক সংঘর্ষ থামিয়েছেন, আবার ট্রাম্পের 'প্রলাপ'?

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মাথা থেকে নামছে না ভারত-পাক সংঘর্ষ বিরতির 'ভূত'। গত কয়েক মাসে অজস্রবার তিনি সংঘর্ষবিরতির প্রসঙ্গ তুলে নিজের জয়জয়কার করেছেন। এদিকে, আজ থেকে আমেরিকার চাপানো ৫০ শতাংশ ট্যারিফ ভারতে লাগু হচ্ছে। এর মাঝেও সংঘর্ষবিরতির নেশা কাটাতে পারছেন না ট্রাম্প।

Advertisement
ট্যারিফ-হুমকি দিয়েই নাকি ভারত-পাক সংঘর্ষ থামিয়েছেন, আবার ট্রাম্পের 'প্রলাপ'?ডোনাল্ড ট্রাম্প-প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মাথা থেকে নামছে না ভারত-পাক সংঘর্ষ বিরতির 'ভূত'। গত কয়েক মাসে অজস্রবার তিনি সংঘর্ষবিরতির প্রসঙ্গ তুলে নিজের জয়জয়কার করেছেন। এদিকে, আজ থেকে আমেরিকার চাপানো ৫০ শতাংশ ট্যারিফ ভারতে লাগু হচ্ছে। এর মাঝেও সংঘর্ষবিরতির নেশা কাটাতে পারছেন না ট্রাম্প।

এদিন ট্রাম্পকে ফের মার্কিন মন্ত্রিসভায় ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতিতে নিজের গুণগান করতে শোনা যায়। ট্রাম্প আবার দাবি করেন, 'তিনি সেদিন নরেন্দ্র মোদীর মতো একজন অসাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলছিলাম।' ট্রাম্পের দাবি, তিনি বলেছিলেন যে ভারত ও পাকিস্তান যদি সংঘর্ষ বন্ধ না করে, তাহলে এমন শুল্ক আরোপ করবেন যে, মাথা ঘুরিয়ে দেবে।

বুধবার হোয়াইট হাউসে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, তিনি ভারতের উপর বড় শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন। ট্রাম্প বলেন, "আমি একজন অসাধারণ ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছি, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী... আমি বলেছি আপনাদের এবং পাকিস্তানের মধ্যে কী ঘটছে... ঘৃণা অনেক বেশি। এটি অনেক দিন ধরেই চলছে, কখনও কখনও অন্য নামে শত শত বছর ধরে...। আগামী কাল আমাকে ফোন করুন। আমরা আপনাদের সঙ্গে কোনও চুক্তি করব না, নয়তো এত বেশি শুল্ক আরোপ করব যে মাথা ঘুরে যাবে।"

বুধবার অর্থাৎ ২৭ অগাস্ট থেকে ভারতীয় পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ ট্যারিফ আরোপ হবে। অনেক পণ্যের উপর ট্যারিফ বসবে ৫০ শতাংশ। এই শুল্ক আরোপের কারণ হিসেবে আমেরিকা জানিয়েছিল, রাশিয়া থেকে তেল ও সামরিক সরঞ্জাম কেনার জন্য অতিরিক্ত শুল্ক বসানো হয়েছে। 

তবে আমেরিকার এত বেশি পরিমাণ ট্যারিফ বসানোর জেরে ভারতকে অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ৫০% শুল্ক আরোপের ঘোষণার জেরে ভারতের ৪৮ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি প্রভাবিত হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রকের মতে, বস্ত্র, রত্ন, গয়না, চিংড়ি, চামড়া এবং যন্ত্রপাতির মতো শিল্পগুলো এতে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হবে। ভারতের রপ্তানি বাজার অনেকটাই দুর্বল হবে। যা কর্মসংস্থান এবং অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে। তবে, সরকারের আশ্বাস, বিকল্প বাজার খোঁজার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।
 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement