Trump on Tariff Deal: ইন্দোনেশিয়ার মডেলেই আমেরিকার ট্যারিফ থেকে রেহাই ভারতের? ট্রাম্পের মন্তব্যে জল্পনা

ভারতের সঙ্গে কেমন বাণিজ্য চুক্তি করবে আমেরিকা, এই নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, ইন্দোনেশিয়ার মতোই ভারতের সঙ্গে চুক্তি সারবে তাঁর দেশ। যা নিয়ে চর্চা ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। 

Advertisement
ইন্দোনেশিয়ার মডেলেই আমেরিকার ট্যারিফ থেকে রেহাই ভারতের? ট্রাম্পের মন্তব্যে জল্পনানরেন্দ্র মোদী ও ডোনাল্ড ট্রাম্প।
হাইলাইটস
  • ভারতের সঙ্গে কেমন বাণিজ্য চুক্তি করবে আমেরিকা
  • এই নিয়ে জোর আলোচনা চলছে।
  • ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, ইন্দোনেশিয়ার মতোই ভারতের সঙ্গে চুক্তি সারবে তাঁর দেশ।

ভারতের সঙ্গে কেমন বাণিজ্য চুক্তি করবে আমেরিকা, এই নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, ইন্দোনেশিয়ার মতোই ভারতের সঙ্গে চুক্তি সারবে তাঁর দেশ। যা নিয়ে চর্চা ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। 

ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে কেমন চুক্তি করেছে আমেরিকা

জিরো ট্যারিফ ডিলের কথা উল্লেখ করে ইন্দোনেশিয়ার বাজারে ঢুকেছে আমেরিকা। তবে আমেরিকায় তাদের পণ্য রপ্তানি করতে গেলে ১৯ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে ইন্দোনেশিয়াকে। ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা পণ্যের উপর ১৯ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে আমেরিকা, যা আগে ১০ শতাংশ ছিল। 

ভারতের সঙ্গে কেমন হতে পারে চুক্তি

এমন পরিস্থিতিতে মনে করা হচ্ছে যে, ট্রাম্প ভারতের সঙ্গেও একই রকম চুক্তি করতে পারেন। ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, শীঘ্রই ভারতের সঙ্গেও একই রকম বাণিজ্য চুক্তি হতে পারে। আমেরিকা ভারতের উপর ১৫-২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে পারে, যা এপ্রিলে প্রস্তাবিত ২৬ শতাংশ শুল্কের চেয়ে কম।

ভারত ইতিমধ্যেই কিছু আমেরিকান পণ্যের উপর শুল্ক কমিয়েছে, যা এই চুক্তিকে আরও সহজ করে তুলতে পারে। বিশেষ করে কৃষি ও দুগ্ধ খাতে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। ভারত তার অবস্থান স্পষ্ট করে বলেছে যে তারা দুগ্ধ ও চালের মতো পণ্যকে এই চুক্তির বাইরে রাখবে।

প্রসঙ্গত, গত ২ এপ্রিল ভারতের উৎপাদিত একাধিক বস্তুর উপর পারস্পরিক চুক্তি লাগু করেছিল আমেরিকা। যা পরবর্তীতে ডোনাল্ড ট্রাম্প ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করে দেন। এর পরবর্তী ডেডলাইন ছিল ৯ জুলাই। এখনও কার্যকর আমেরিকার ১০ শতাংশ বেসলাইন ট্যারিফ। ভারত চাইছে আমেরিকা ২৬ শতাংশ পারস্পরিক কর সম্পূর্ণরূপে তুলে নিক। সেক্ষেত্রে যদি দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি বিফল হয় তবে ফের এই ২৬ শতাংশের খাঁড়া নেমে আসতে পারে।ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানিয়েছেন, বাণিজ্য চুক্তি তখনই কার্যকর হবে, যখন তা দুই দেশের জনগণ লাভবান হবেন। গত ৪ জুলাই তিনি বলেছিলেন, 'জনগণের উপর কী প্রভাব পড়ছে সেই ভাবনাই আমাদের কাছে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। সেকথা মাথায় রেখে যদি কোনও চুক্তি হয় তবে ভারত সর্বদাই প্রস্তুত।'

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement