ইরানে হামলা চালাতে চলেছে আমেরিকা। দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল সূত্রে খবর, ইরানে সামরিক অভিযান চালানোর ব্যাপারে সায় দিয়েছেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে নির্দেশ দেননি তিনি। সূত্রের খবর, পরমাণু অস্ত্র তৈরির কাজ ইরান থামায় কিনা, তার জন্য খানিকটা অপেক্ষা করছে আমেরিকা। পরমাণু অস্ত্রের কারবারের কাজ থেকে ইরান বিরত না হলেই কঠোর পদক্ষেপের পথে হাঁটবে ওয়াশিংটন।
অন্য দিকে, ব্লুমবার্গের এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, চলতি সপ্তাহান্তেই ইরানে হামলা চালাতে পারে আমেরিকা। সেরকমই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ট্রাম্প সরকার।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা খামেনেই গতকালই ইজরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে দিয়েছেন। খামেনইকে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করতে আহ্বান জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। তিনি এ-ও বলেছিলেন যে, খামেনেই কোথায় লুকিয়ে রয়েছেন তিনি জানেন। এদিকে, খামেনেই পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইরান কারও কাছে মাথা নত করবে না। আমেরিকার সেনাবাহিনীর যে কোনও রকমের হস্তক্ষেপে অপূরণীয় ক্ষতি হবে বলেও হুঁশিয়ারির সুর শোনা গিয়েছে তাঁর গলায়।
আমেরিকার সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে প্রায় ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট বৈঠক করেছেন ট্রাম্প। ওই বৈঠকেই যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে খবর। প্রসঙ্গত, ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে সংঘর্ষ সপ্তম দিনে পড়ল। দুই দেশের হামলায় বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন আরও অনেকে। তেহরান খালি করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। জি-৭ বৈঠক থেকে ১ দিন আগেই ফিরে গিয়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে ,সিবিএস নিউজ সূত্রে জানা যায়, ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলি ধ্বংস করতে ইজরায়েলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা ভাবছেন ট্রাম্প। Axios সূত্রে খবর, ইজরায়েল মনে করছে যে, ইরানের পরমাণু ভান্ডার ধ্বংস করতে আগামী দিনে তাদের সঙ্গে যুদ্ধে যোগ দিতে পারে আমেরিকা। আর এবার জানা গেল, ইরানে হামলা চালানোর ব্যাপারে সায় দিয়েছেন ট্রাম্প। ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকা হামলা চালালে যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও জটিল হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।