ইউক্রেনের ওপর মার্কিনের হাত সরতেই এগিয়ে এসেছে ব্রিটেন। এবার ডোনাল্ড ট্রাম্প সমর্থিত দল রিপাবলিকান নেতারা জেলেনস্কিকে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের বিষয়ে তাঁর অবস্থান পরিবর্তনের দাবি করেন। সেইসঙ্গে পদত্যাগ করার জন্যও চাপ বাড়িয়েছেন।
রবিবার লন্ডনে এক বৈঠকে ইউরোপের রাষ্ট্রপ্রধানরা জেলেনস্কি এবং ইউক্রেনকে সমর্থন করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনের জন্য প্রতিরক্ষা বাড়ানোর জন্য প্রতিপক্ষদের আহ্বান জানিয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ২৮ ফেব্রুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ওভাল অফিসে জেলেনস্কির সঙ্গে তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে হোয়াইট হাউস ছেড়ে দিতে বলা হয়। জেলেনস্কি রাতের খাবার না খেয়েই সেখান থেকে চলে যান। জেলেনস্কি এবং ট্রাম্পের মধ্যে বিতর্ক সারা বিশ্বনেতাদের অবাক করে। ট্রাম্প বলন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের অবসান ঘটাতে জেলেনস্কির উচিত পুতিনের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করা।
ট্রাম্প জেলেনস্কিকে 'মূর্খ প্রেসিডেন্ট' বলে দাবি করেন
জেলেনস্কি বৈঠকে যুক্তি দিয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০১৯-এ যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে অসম্মান করেছেন। তাঁকে একজন খুনি এবং সন্ত্রাসবাদী বলে দাবি করেন। ট্রাম্প তার প্রতিক্রিয়ায় আপত্তি জানান। জেলেনস্কির বিরুদ্ধে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধকে আহ্বান জানানোর অভিযোগ করেন। সাংবাদিকদের সামনে দুই নেতাই একে অপরের সঙ্গে বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। ইউক্রেনকে সঙ্কট থেকে বের করতে চান না বলে অভিযোগ করে ট্রাম্প জেলেনস্কিকে একজন মূর্খ প্রেসিডেন্ট বলে দাবি করেন।
আমেরিকা কি ইউক্রেনকে সাহায্য করবে?
সাউথ ক্যারোলিনার মার্কিন সেনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম, ট্রাম্পের শীর্ষ সহযোগী এবং ইউক্রেনের সমর্থক, সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সে সময় হোয়াইট হাউসের সঙ্গে তর্কাতর্কির পরেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জেলেনস্কির সঙ্গে কাজ করতে পারে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার মাইক জনসনও সেনেটর লিন্ডসে গ্রাহামের প্রশ্নের পুনরাবৃত্তি করেছিলেন। জেলেনস্কির কথা উল্লেখ করে তিনি এনবিসির 'মিট দ্য প্রেস' অনুষ্ঠানে বলেন, 'কিছু পরিবর্তন করতে হবে। হয় তাকে (জেলেনস্কি) বুঝতে হবে। নয়তো অন্য কাউকে দেশের নেতৃত্ব দিতে হবে।'
মাইক জনসন বলেন, 'আমিও পুতিনকে পরাজিত দেখতে চাই। তিনি ব্রিটেন বিরোধী। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের এই যুদ্ধের অবসানে মন দিতে হবে।'