চলতি সপ্তাহেই ভারত-সহ বিভিন্ন দেশের উপর আমদানি শুল্ক চাপিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুল্ক চাপানোর পর বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে ভারত, ইজরায়েল ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে আলোচনা করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সিএনএন তাদের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
সিএনএনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ট্রাম্প এই দেশগুলির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছেন। এই সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা ফলপ্রসূ হলে ৯ এপ্রিল থেকে কার্যকর করা শুল্কের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে। ভারত, ইজরায়েল ও ভিয়েতনামের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে ট্রাম্পের আলোচনা অন্যান্য দেশের সঙ্গে একই ধরনের আলোচনার পথ খুলে দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
চিন ও কানাডা ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে যে, তারা আমেরিকার আমদানির উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করে ট্রাম্পের শুল্ক নীতির বদলা নেবে। সিএনএন হোয়াইট হাউসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে যে, পারস্পরিক শুল্ক ৯ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে।
এদিকে, ট্রাম্প নিজেই নিশ্চিত করেছেন যে তিনি তাঁর ব্যবসায়িক অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত। বৃহস্পতিবার এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'প্রতিটি দেশই শুল্ক নিয়ে আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চায়...।' ট্রাম্প আশা করছেন, শুল্ক ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে আলোচনা ইতিবাচক ফল দেবে।
ভারতের পণ্যের উপর ২৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন ট্রাম্প। ভারতের উপর শুল্প আরোপ করার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বের কথা তোলেন ট্রাম্প। একইসঙ্গে তাঁর গলায় শোনা যায় অনুযোগের সুর। কী বলেছেন ট্রাম্প? ট্রাম্প বলেছেন, 'ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্প্রতি আমেরিকায় এসেছিলেন। তিনি আমার খুব ভালো বন্ধু। কিন্তু, এই সফরে আমি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে বলেছিলাম, আপনি আমাদের সঙ্গে ঠিকমতো আচরণ করছেন না। ভারত সবসময় আমেরিকা থেকে ৫২ শতাংশ শুল্ক নেয়। তাই আমরা তাদের অর্ধেক ২৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করব।'