মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পহেলগাঁও সন্ত্রাসবাদী হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন। শুক্রবার ভারত-পাক সম্পর্ক নিয়ে বলতে গিয়ে পহেলগাঁও জঙ্গিহানার নিন্দা করেন। বলেন, 'এটি খুব খারাপ আক্রমণ'। এয়ার ফোর্স ওয়ান বিমানে সাংবাদিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ভারত ও পাকিস্তান তাদের নিজস্ব স্তরে এই পরিস্থিতির সমাধান করবে।
তিনি বলেন, "আমি ভারতের খুব কাছের এবং পাকিস্তানেরও... । কাশ্মীর নিয়ে দু'দেশের মধ্যে বছরের পর বছর ধরে লড়াই চলছে। কাশ্মীর সমস্যা বছরের পর বছর ধরেই আছে। যে সন্ত্রাসবাদী হামলাটি ঘটেছে তা খুব খারাপ, খুবই খারাপ।"
'হাজার হাজার বছর ধরে ওই সীমান্তে উত্তেজনা রয়েছে'
কাশ্মীর সমস্যা এবং ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিনের উত্তেজনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি উত্তর দেন, "বছরের পর বছর ধরে ওই সীমান্তে উত্তেজনা রয়েছে। সবসময় এরকমই ছিল। কিন্তু আমি নিশ্চিত যে তারা যেকোনওভাবে এর সমাধান খুঁজে পাবে। আমি দুই নেতাকেই চিনি, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে অনেক উত্তেজনা রয়েছে।"
এর আগে, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন। সন্ত্রাসবাদী হামলার তীব্র নিন্দা করেছিলেন, ভারতকে পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছিলেন। তিনি এই 'জঘন্য হামলার' দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে ভারতের সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছেন।
'দু'দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় আক্রমণ'
মঙ্গলবার, জম্মু ও কাশ্মীরের পর্যটন কেন্দ্র বৈসরন উপত্যকায় ২৬ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই হামলাটিকে প্রায় দু'দশকের মধ্যে কাশ্মীরে সবচেয়ে মারাত্মক হামলা বলে মনে করা হচ্ছে। এই হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্কে তীব্র পরিবর্তন এসেছে।
ভারত সরকার অ্যাকশন মোডে
হামলার পর ভারত সরকার বেশ কয়েকটি কঠোর কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেয়, যার মধ্যে রয়েছে আটারিতে ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট (ICP) বন্ধ করে দেওয়া, পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য SAARC ভিসা অব্যাহতি প্রকল্প (SVES) স্থগিত করা এবং উভয় দেশের হাইকমিশনে কর্মকর্তাদের সংখ্যা হ্রাস করা।
ভারত ১৯৬০ সালের সিন্ধু জল চুক্তিও স্থগিত করেছে। শুক্রবার, ভারতীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, ভারত নিশ্চিত করবে যে সিন্ধু নদীর এক ফোঁটাও জল অপচয় না হয় বা পাকিস্তানে না পৌঁছয়।