Tariff on Brazil: এবার ব্রাজিলে ৫০% আমদানি শুল্ক চাপালেন ট্রাম্প, প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি প্রেসিডেন্ট লুলার

সাতটি দেশে নতুন করে 'শুল্ক বোমা'-র পর এবার ব্রাজিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রাজিলের উপর সরাসরি ৫০ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেন। এর আগে ফিলিপিন্স, ইরাক, মলডোভা, আলজেরিয়া, লিবিয়া, শ্রীলঙ্কা এবং ব্রুনেইয়ে শুল্ক আরোপের কথা জানান ট্রাম্প। এই দেশগুলিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়।

Advertisement
এবার ব্রাজিলে ৫০% আমদানি শুল্ক চাপালেন ট্রাম্প, প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি প্রেসিডেন্ট লুলারমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা

সাতটি দেশে নতুন করে 'শুল্ক বোমা'-র পর এবার ব্রাজিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রাজিলের উপর সরাসরি ৫০ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেন। এর আগে ফিলিপিন্স, ইরাক, মলডোভা, আলজেরিয়া, লিবিয়া, শ্রীলঙ্কা এবং ব্রুনেইয়ে শুল্ক আরোপের কথা জানান ট্রাম্প। এই দেশগুলিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়।

এই ঘোষণার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। শুল্ক আরোপের পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট। তিনি সাফ জানান, আমেরিকা যদি একতরফাভাবে ব্রাজিলের উপর আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি করে, তাহলে ব্রাজিলও প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নেবে।

ট্রাম্পের বক্তব্য, ব্রাজিলে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর সঙ্গে যে আচরণ করা হচ্ছে তার পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বলসোনারো বর্তমানে অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন।

এসবের তোয়াক্কা না করে প্রেসিডেন্ট লুলার কার্যালয় থেকে বিবৃতিতে জানানো হয়, "অর্থনৈতিক পারস্পরিকতা আইনের অধীনে যেকোনোও দেশের একতরফা শুল্ক বৃদ্ধির প্রতিক্রিয়া জানাবে ব্রাজিল।"

এই বিবৃতির পর আমেরিকা ও ব্রাজিলের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কা আরও বেড়ে গেছে। আসলে, ট্রাম্পের যুক্তি দেন, ব্রাজিলের উপর আরোপিত এই শুল্ক বলসোনারোর বিরুদ্ধে মামলার বিরোধিতা এবং অন্যায্য বাণিজ্য সম্পর্কের কারণে। তিনি অভিযোগ করেন, ব্রাজিল আমেরিকার সঙ্গে ন্যায্য বাণিজ্য করছে না। জবাবে প্রেসিডেন্ট লুলা লেখেন, 'ব্রাজিল একটি সার্বভৌম দেশ যার নিজস্ব স্বাধীন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আমরা কোনও ধরনের বাইরের হস্তক্ষেপ মেনে নেব না।'

ট্রাম্পের বলসোনারোর যুক্তিতে ব্রাজিল প্রেসিডেন্টের বার্তা
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বলসোনারোর বিরুদ্ধে আইনি কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে ব্রাজিলের বিচার বিভাগের অধীনে। কোনও বহিরাগত চাপ মেনে নেওয়া হবে না। প্রেসিডেন্ট লুলা বলেন, "যারা অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র করেছিল তাদের বিচার ব্রাজিলের আদালতের বিষয়, এবং কোনও হুমকি বা বহিরাগত হস্তক্ষেপ তাদের প্রভাবিত করবে না।" আরও বলেন, ব্রাজিলে মত প্রকাশের স্বাধীনতার অর্থ হিংসা, আগ্রাসন বা ঘৃণা ছড়ানো নয়। ব্রাজিল কোনও ধরনের অনলাইন ঘৃণামূলক বক্তব্য, বর্ণবাদ, শিশু নির্যাতন বা অন্য কোনও ধরণের নির্যাতন সহ্য করবে না। দেশে পরিচালিত সমস্ত সংস্থা, ব্রাজিলের হোক বা বিদেশী, তাদের ব্রাজিলের আইন মেনে চলতে হবে।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement