Chabahar port USA: ভারত সহ বহু দেশের ছাড় প্রত্যাহার, চাবাহার বন্দর নিয়ে আমেরিকার নয়া কৌশল

Chabahar port USA: এই ছাড় ভারত ও অন্যান্য দেশকে চাবাহারে কাজ করার অনুমতি দিত, যাতে তারা আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার আওতায় না পড়ে। কিন্তু এখন তা তুলে নেওয়ায় ভারতের কৌশলগত ও অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় বড় প্রভাব পড়তে পারে।

Advertisement
ভারত সহ বহু দেশের ছাড় প্রত্যাহার, চাবাহার বন্দর নিয়ে আমেরিকার নয়া কৌশলভারত সহ বহু দেশের ছাড় প্রত্যাহার, চাবাহার বন্দর নিয়ে আমেরিকার নয়া কৌশল

Chabahar port USA: আমেরিকার পররাষ্ট্র দফতর এ বিষয়ে ব্যাখ্যাও দিয়েছে। পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, এই পদক্ষেপ ইরান সরকার ও তার সামরিক কার্যক্রমকে বজায় রাখার জন্য ব্যবহৃত অবৈধ আর্থিক নেটওয়ার্ককে ব্যাহত করার তাদের বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ।

আমেরিকা ইরানের কৌশলগত চাবাহার বন্দরে ২০১৮ সালে দেওয়া নিষেধাজ্ঞা থেকে ছাড় (Sanctions Waiver) বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে এবং এটিকে ওয়াশিংটনের “ম্যাক্সিমাম প্রেসার” অভিযানের কৌশলের অংশ বলে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

এই ছাড় ভারত ও অন্যান্য দেশকে চাবাহারে কাজ করার অনুমতি দিত, যাতে তারা আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার আওতায় না পড়ে। কিন্তু এখন তা তুলে নেওয়ায় ভারতের কৌশলগত ও অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় বড় প্রভাব পড়তে পারে।

ভারত মে ২০২৪-এ ইরানের সঙ্গে ১০ বছরের জন্য একটি চুক্তি করেছিল, যার অধীনে ইন্ডিয়ান পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেড (IPGL) শাহিদ বেহেশ্তি টার্মিনালের কার্যক্রম নিজেদের হাতে নেয়। এটি ছিল প্রথমবার, যখন ভারত কোনও বিদেশি বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব নেয়। এর আগে ২০১৬ সালের চুক্তি প্রতি বছর নবায়ন করা হতো।

ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই বন্দর
চাবাহার বন্দর ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি পাকিস্তানকে বাইপাস করে আফগানিস্তান ও মধ্য এশিয়ার সঙ্গে সরাসরি বাণিজ্যিক পথ খুলে দেয়। ভারত ২০০৩ সালে এই প্রকল্পের প্রস্তাব দিয়েছিল, যাতে ইন্টারন্যাশনাল নর্থ-সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডরের মাধ্যমে আঞ্চলিক সংযোগ জোরদার করা যায়।

ভারত এই বন্দরের মাধ্যমে একাধিকবার কৌশলগত সরবরাহও করেছে। ২০২৩ সালে ২০,০০০ টন গম আফগানিস্তানে পাঠানো হয়েছিল এবং ২০২১ সালে পরিবেশ-বান্ধব কীটনাশক ইরানে এই পথেই পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল।

আমেরিকার পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, এই পদক্ষেপ ইরানি শাসন ও তার সামরিক কার্যক্রমকে দেওয়া অবৈধ আর্থিক সাহায্য ব্যাহত করার জন্য নেওয়া হয়েছে। তবে এর ফলে ভারতের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে, কারণ চাবাহার বন্দর-সংক্রান্ত কার্যকলাপে যুক্ত কোম্পানিগুলি এখন আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে পারে।

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement