US Stance On Pakistan Diplomatic Isolation: ভারতের সঙ্গে লড়াইয়ের মাঝে লাইফ লাইন হারাল পাকিস্তান, হাত ছাড়ল 'পরম বন্ধু'

 US Stance On Pakistan Diplomatic Isolation: ভারতের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে, যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সহায়তা বন্ধ করেছে। এবার প্রশ্ন হল, কেন এই সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের জন্য বড় ধাক্কা এবং এর পরিণতি কী হতে পারে। 

Advertisement
ভারতের সঙ্গে লড়াইয়ের মাঝে লাইফ লাইন হারাল পাকিস্তান, হাত ছাড়ল 'পরম বন্ধু'ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষের মাঝেই আরেক বিপদ! পাকিস্তানের হাত ছাড়ল দীর্ঘদিনের বন্ধু

 US Stance On Pakistan Diplomatic Isolation: ভারতের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের মধ্যে, শুক্রবার পাকিস্তান বুঝতে পারে যে তাদের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য জীবনরেখা এখন ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। আমরা যদি ইতিহাসের দিকে তাকাই, পাকিস্তান ভারতের সাথে এই বিশ্বাসে দ্বন্দ্বে লিপ্ত ছিল যে পরিস্থিতি কঠিন হলে আমেরিকা তাকে সাহায্য করবে, যার কাছে সে SOS নিয়ে ছুটে আসবে। কিন্তু ভারতের 'অপারেশন সিঁদুর'-এর পর, আমেরিকা এখন পাকিস্তানের কাছ থেকে সফট ল্যান্ডিংয়ের সুবিধাও কেড়ে নিয়েছে।

ভারতের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে, যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সহায়তা বন্ধ করেছে। এবার প্রশ্ন হল, কেন এই সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের জন্য বড় ধাক্কা এবং এর পরিণতি কী হতে পারে। 

ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার মাঝে পাকিস্তানের জন্য বন্ধ হল আমেরিকার সহায়তার বিকল্প। যুক্তরাষ্ট্রের স্পষ্ট বার্তা
ভারতের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে, পাকিস্তান তার দীর্ঘদিনের সহায়তা হারিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা এই সংঘাতে মধ্যস্থতা করবে না এবং পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াবে না।

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, "আমরা এই সংঘাতে মধ্যস্থতা করব না। আমরা চাই উভয় পক্ষ উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা করুক, কিন্তু এটি আমাদের দায়িত্ব নয়।"

পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া:
পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার উপর নির্ভর করেছে। তবে এবার তারা বুঝতে পেরেছে যে, সেই সহায়তা আর পাওয়া যাবে না। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, "আমরা আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা করছি।"
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া:
চীন এবং তুরস্ক পাকিস্তানের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিলেও, যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থান পাকিস্তানের জন্য বড় ধাক্কা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের জন্য একটি স্পষ্ট বার্তা যে, তারা আর আগের মতো আন্তর্জাতিক সহায়তা পাবে না। এটি পাকিস্তানের কূটনৈতিক অবস্থানকে দুর্বল করে তুলবে এবং তাদেরকে নিজেদের নীতিমালা পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করবে।

এখন আর মাত্র কয়েকজন বন্ধু অবশিষ্ট
এখন পর্যন্ত, পাকিস্তানের সমর্থন শুধুমাত্র কয়েকটি মিত্র দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল, প্রধানত চিন, তুর্কি এবং আজারবাইজান। এটি পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান বিচ্ছিন্নতাকে প্রতিফলিত করে, কারণ সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো ঐতিহ্যবাহী মিত্ররা ভারসাম্যপূর্ণ বা ভারতপন্থী অবস্থান গ্রহণ করেছে। জি-২০ এবং উপসাগরীয় দেশগুলিতে ব্রিফিং সহ ভারতের কূটনৈতিক প্রচারণা তার সন্ত্রাসবিরোধী বক্তব্যের জন্য যথেষ্ট সহানুভূতি অর্জন করেছে।

Advertisement

কার্গিলের পর থেকে, ভারত প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান থেকে আক্রমণাত্মক এবং প্রতিশোধমূলক কৌশলে চলে এসেছে, যেমনটি ২০১৬ সালের সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এবং ২০১৯ সালের বালাকোট বিমান হামলায় দেখা গেছে। সরাসরি পদক্ষেপের এই কৌশল ভারতকে সাহস জুগিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতার উপর তার নির্ভরতা কমিয়েছে।


 

 

POST A COMMENT
Advertisement