আমেরিকাকে স্বপ্নের দেশ বলে মনে করে বিশ্বের মানুষ। সেখানকার লাইফস্টাইল, চাকরির আকর্ষণে বহু মানুষ সেদেশে যায়। পর্যটকও গিজগিজ করে সারা বছর। তবে এই গ্ল্যামারের পিছনে সত্যি রয়েছে। যা বাকি দুনিয়ার মানুষের চোখে পড়ে না। এরকমই এক শহরের নাম সিয়াটেল। সেই শহরের এক রেড লাইট এরিয়া রয়েছে। যা এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিয়াটেলের সেই রাস্তার নাম 'দ্য ব্লেড'। সেই রাস্তায় অন্ধকার নামলেই প্রতিদিন দাঁড়িয়ে থাকে শয়ে শয়ে দেহোপজীবিনী। সেই রাস্তায় মহিলারা দাঁড়িয়ে থাকেন ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে। স্বল্প পোশাকে সেজেগগুজে দাঁড়িয়ে থাকেন তাঁরা। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল এই রাস্তার কাছেই বিশ্বের বড় বড় প্রযুক্তি কোম্পানি যেমন Amazon এবং Apple এর অফিসও রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও এ এলাকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে দেহোপজীবিনীদের ব্যবসা।
প্রতিদিন প্রায় ৩০০ জন এই রাস্তায় যান। প্রায় ৬০ জন মহিলা সারাদিনের কোনও না কোনও সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকেন। COVID-19 চলাকালীন পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছিল। ক্লাব এবং বারগুলি বন্ধ হয়ে গেছিল। তখন এই মহিলাদের রাস্তায় নামতে বাধ্য করা হয়েছিল।
স্থানীয় দোকানদার ডাটন ক্লার্কের মতে, কোভিডের পর থেকে এই এলাকার অবস্থা এতটা খারাপ। গত বছর পর্যন্ত রাস্তায় সব সময় ৫০-৬০ জন মহিলা সারাক্ষণ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতেন। তাঁদের লক্ষ্য ছিল খরিদ্দার খোঁজা।
সবচেয়ে বেদনাদায়ক বিষয় হল, যে সব মেয়েরা এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকে তাদের অনেকের বয়স খুবই কম। প্রতিবেদনে আরও প্রকাশ, এখানে ক্রেতা হিসেবে যাঁরা আসেন তাঁদের বেশিরভাগই আশেপাশের বড় প্রযুক্তি সংস্থাগুলিতে কর্মরত। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই রাস্তায় অপরাধও বেড়েছে। যার জেরে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। ফলে এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা তা নিয়ে চিন্তিত।