Pakistan on India: 'ভারতে চাঁদে, আর আমাদের দেশে নর্দমায় শিশুমৃত্যু হচ্ছে,' পাক সাংসদের মন্তব্য VIRAL

'ভারত কত এগিয়ে গিয়েছে। আর পাকিস্তান পিছিয়ে পড়ছে,' ফের আরও এক পাক রাজনীতিবিদের মুখে আক্ষেপের সুর। পাকিস্তানের MQM-P পার্টির নেতা সৈয়দ মুস্তফা কামাল বলেন, 'করাচি খোলা নর্দমায় পড়ে শিশুদের মৃত্যুর খবর প্রচার করছে, অন্যদিকে ভারত চাঁদে অবতরণের মতো অসাধারণ সাফল্য অর্জন করছে।'

Advertisement
'ভারতে চাঁদে, আর আমাদের দেশে নর্দমায় শিশুমৃত্যু হচ্ছে,' পাক সাংসদের মন্তব্য VIRALsyed kamal viral video
হাইলাইটস
  • 'ভারত কত এগিয়ে গিয়েছে। আর পাকিস্তান পিছিয়ে পড়ছে,' ফের আরও এক পাক রাজনীতিবিদের মুখে আক্ষেপের সুর।
  • পাকিস্তানের MQM-P পার্টির নেতা সৈয়দ মুস্তফা কামাল বলেন, 'করাচি খোলা নর্দমায় পড়ে শিশুদের মৃত্যুর খবর প্রচার করছে, অন্যদিকে ভারত চাঁদে অবতরণের মতো অসাধারণ সাফল্য অর্জন করছে।'
  • বুধবার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ভাষণ দেওয়ার সময় সৈয়দ মুস্তফা কামাল বলেন, 'করাচির অবস্থা এমন যে, পৃথিবী যেখান চাঁদে যাচ্ছে, সেখানে এদেশে অনেক শিশু খোলা নর্দমায় পড়ে প্রাণ হারাচ্ছে। একই টিভিতে খবরে দেখাচ্ছে যে ভারত চাঁদে অবতরণ করছে, তার দুই সেকেন্ড পরেই,

'ভারত কত এগিয়ে গিয়েছে। আর পাকিস্তান পিছিয়ে পড়ছে,' ফের আরও এক পাক রাজনীতিবিদের মুখে আক্ষেপের সুর। পাকিস্তানের MQM-P পার্টির নেতা সৈয়দ মুস্তফা কামাল বলেন, 'করাচি খোলা নর্দমায় পড়ে শিশুদের মৃত্যুর খবর প্রচার করছে, অন্যদিকে ভারত চাঁদে অবতরণের মতো অসাধারণ সাফল্য অর্জন করছে।'

বুধবার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ভাষণ দেওয়ার সময় সৈয়দ মুস্তফা কামাল বলেন, 'করাচির অবস্থা এমন যে, পৃথিবী যেখান চাঁদে যাচ্ছে, সেখানে এদেশে অনেক শিশু খোলা নর্দমায় পড়ে প্রাণ হারাচ্ছে। একই টিভিতে খবরে দেখাচ্ছে যে ভারত চাঁদে অবতরণ করছে, তার দুই সেকেন্ড পরেই, একটি শিশু করাচির একটি খোলা নর্দমায় পড়ে মারা গিয়েছে বলে দেখানো হচ্ছে।'

২৩ আগস্ট, ২০২৩-এ, ভারতের চন্দ্রযান-3 মিশনের মাধ্যমে চন্দ্রপৃষ্ঠে সফলভাবে সফ্ট ল্যান্ডিং করে ইতিহাস তৈরি করে।

ভারত বিশ্বের প্রথম দেশ যারা চাঁদের অনাবিষ্কৃত দক্ষিণ মেরুর কাছে পৌঁছেছে। এর পাশাপাশি চন্দ্রপৃষ্ঠে সফট ল্যান্ডিং করা বিশ্বের চারটি দেশের তালিকায় রয়েছে। ভাষণে, সৈয়দ কামাল আরও বলেন, করাচি পাকিস্তানের 'রাজস্ব ইঞ্জিন'। 'দেশের দু'টি সমুদ্রবন্দর রয়েছে, যেগুলি করাচিতেও অবস্থিত। সমগ্র পাকিস্তান, মধ্য এশিয়া এবং আফগানিস্তানের প্রবেশদ্বার এগুলি। আমরা এই একটি শহর থেকেই দেশের প্রায় ৬৮ শতাংশ রাজস্ব সংগ্রহ করি, আর গোটা দেশ তাতে চলে,' বলেন তিনি।

'কিন্তু গত ১৫ বছর ধরে, করাচিকে একটু পরিষ্কার পানীয় জলটুকুও দেওয়া হয়নি। যে জল এসেছিল, তা চুরি করে জলের ট্যাঙ্কার মাফিয়ারা মজুদ করে এবং করাচির মানুষের কাছে বিক্রি করে,' উল্লেখ করেন তিনি৷

তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, পাকিস্তানে ২,৬২ কোটি শিশু স্কুলে যায় না।

কামাল আরও বলেন, 'এই সংখ্যা ৭০টি দেশের জনসংখ্যার চেয়েও বেশি। এত অশিক্ষিত শিশু আমাদের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ধ্বংস করে দেবে।'

শুধুমাত্র সিন্ধুতেই ৪৮,০০০টি স্কুল রয়েছে, কিন্তু এর মধ্যে ১১,০০০টি 'ভূতের স্কুল'। তিনি বলেন, সিন্ধু প্রদেশের ৭০ লক্ষ শিশু স্কুলে যায় না।

ইউনিসেফের মতে, পাকিস্তানে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক স্কুল-ছুট শিশু রয়েছে। সেখানে ৫-১৬ বছর বয়সী আনুমানিক ২.২৮ কোটি শিশু স্কুলে যায় না। এটি এই বয়সের মোট জনসংখ্যার ৪৪ শতাংশ।

Advertisement

উল্লেখ্য এগুলি ছাড়াও পাকিস্তান উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং ক্রমবর্ধমান ঋণের মতো বড়সড় অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে।

POST A COMMENT
Advertisement