কথায় আছে, 'আঙুর ফল টক'। সেই প্রবাদবাক্যটাই যেন ফেল গেল ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষেত্রে। যে নোবেল শন্তি পুরস্কার পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তা হাতছাড়া হতেই নোবেল কমিটির উপর বেজায় ক্ষেপে গেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্পকে না বেছে, নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ভেনিজুয়েলার বিরোধী দলনেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে নির্বাচিত করায় ক্ষোভ উগরে দিল হোয়াইট হাউস।
৮টি যুদ্ধ থামানোর দাবি করে নিজেকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য দাবিদার মনে করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু নোবেল কমিটি তাঁকে নয় বরং ভেনিজুয়েলার এই লড়াকু নেত্রীকেই যোগ্য বিবেচিত করেছে। আর তা নিয়ে নোবেল কমিটিকে একহাত নিল ওভাল অফিস। তাদের বক্তব্য, শান্তির বদলে রাজনীতি বেছে নিয়েছে নোবেল কমিটি। মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে নোবেল দিয়ে সেটাই প্রমাণ করেছে তারা।
ভেনিজুয়েলার 'আয়রন লেডি' হিসেবেই পরিচিত মারিয়া কোরিনা মাচাদো। গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য তাঁর লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েছে নোবেল কমিটি। ২০২৫ সালে টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ জন শক্তিশালী মহিলার তালিকায় তিনি ছিলেন অন্যতম উজ্জ্বল নাম।
কিন্তু মারিয়াকে যোগ্য মনে করছে না আমেরিকা। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে মুখপাত্র স্টিভেন চিউং এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে বলেন, 'প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এরপরও শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবে। আরও যুদ্ধ থামাবেন তিনি এবং হাজার হাজার মানুষের প্রাণ বাঁচাবেন। উনি মানবিক এবং বিশ্বে এমন আর কেউ নেই যে ওঁর মতো মনের জোরে পাহাড় পর্যন্ত টলিয়ে দিতে পারেন।'
নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে প্রাক্তনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছিলেন, 'কিছু না করেই বারাক ওবামা শান্তি পুরস্কার পেয়ে গিয়েছেন। কেবলমাত্র ধ্বংস করেছেন আমাদের দেশকে। এমনকী উনি একজন ভাল প্রেসিডেন্টও ছিলেন না।'