Afghanistan-Pakistan Border Clash: তালিবানদের সামনে টিকতে পারবে পাকিস্তান? 'পরের আঘাতের অপেক্ষা...'

Afghanistan-Pakistan Border Clash: দুই দেশের মধ্যে প্রায় ২৬০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত, যা বহু দিন ধরেই বিরোধের কেন্দ্রবিন্দু, আবারও অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে। পাকিস্তানের অভিযোগ, আফগানিস্তান ‘তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান’ (টিটিপি)-র মতো জঙ্গি সংগঠনগুলিকে আশ্রয় দিচ্ছে, যারা পাকিস্তানের মাটিতে হামলা চালায়। অন্যদিকে তালিবানের পাল্টা অভিযোগ, পাকিস্তান নিয়মিত আফগান ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করে এবং সাধারণ নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু বানায়।

Advertisement
তালিবানদের সামনে টিকতে পারবে পাকিস্তান? 'পরের আঘাতের অপেক্ষা...''পরের আঘাতের জন্য অপেক্ষা করুক', তালিবানের সামনে প্রতিরোধ গড়তে পারবে পাকিস্তান?

Afghanistan-Pakistan Border Clash: আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সীমান্ত ফের উত্তপ্ত। জ্বলে উঠেছে উত্তেজনার আগুন। গত ১৫ অক্টোবর পাকিস্তান আফগানিস্তানের কান্দহার প্রদেশের স্পিন বল্দক জেলায় বিমান হামলা চালায়, যাতে একাধিক সাধারণ মানুষ প্রাণ হারান। এই ঘটনার জেরে দুই দেশের মধ্যে চলছে তীব্র বাকযুদ্ধ। প্রশ্ন উঠছে, এবার কি পাকিস্তানকে পাল্টা জবাব দেবে তালিবান?

সীমান্তবিবাদ ও উত্তেজনার সূচনা
দুই দেশের মধ্যে প্রায় ২৬০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত, যা বহু দিন ধরেই বিরোধের কেন্দ্রবিন্দু, আবারও অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে। পাকিস্তানের অভিযোগ, আফগানিস্তান ‘তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান’ (টিটিপি)-র মতো জঙ্গি সংগঠনগুলিকে আশ্রয় দিচ্ছে, যারা পাকিস্তানের মাটিতে হামলা চালায়। অন্যদিকে তালিবানের পাল্টা অভিযোগ, পাকিস্তান নিয়মিত আফগান ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করে এবং সাধারণ নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু বানায়।

সাম্প্রতিক সংঘর্ষ
২০২৫ সালের ৯ অক্টোবর প্রথমবার পাকিস্তান আফগানিস্তানে বিমান হামলা চালায়, যেখানে লক্ষ্য ছিল তালিবানের ঘাঁটি। তার পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে গোলাগুলি এবং পাল্টা হামলা ক্রমশ বৃদ্ধি পায়।
কুররাম, চমন এবং স্পিন বল্দক-সহ সীমান্তের একাধিক এলাকায় নতুন করে সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়।
১৫ অক্টোবর ভোররাত চারটে নাগাদ সীমান্তে শুরু হয় তীব্র গুলি বিনিময়।

Afghanistan-Pakistan Border Clash: 

লড়াই ও বিমানবোমা বর্ষণ
তালিবানের মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছেন, পাকিস্তানি সেনা প্রথমে হালকা ও ভারী অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ শুরু করে। এর জবাবে তালিবানও পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখায়। কয়েক ঘণ্টা পর পাকিস্তান স্পিন বল্দকে বিমানবোমা বর্ষণ চালায়। ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, প্রবল বিস্ফোরণের শব্দ আর আকাশে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী। এই হামলার লক্ষ্য ছিল তালিবানের সামরিক ঘাঁটি, কিন্তু তার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষের বসতিতেও ব্যাপক ক্ষতি হয়।

হতাহতের সংখ্যা ও বাস্তুচ্যুতি
তালিবানের দাবি, এই সংঘর্ষে ১২ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং ১০০-রও বেশি মানুষ আহত।
কিছু আন্তর্জাতিক রিপোর্টে মৃতের সংখ্যা ১৫ থেকে ২০ বলে উল্লেখ করা হয়েছে, যাদের মধ্যে মহিলা ও শিশুরাও রয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পক্ষেও হতাহতের খবর পাওয়া গিয়েছে।

Afghanistan-Pakistan

যুদ্ধবিরতি ও পরবর্তী পরিস্থিতি
এখন দুই দেশই ৪৮ ঘণ্টার অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি (সিজফায়ার) ঘোষণা করেছে, যা ১৬ অক্টোবর সন্ধ্যা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। পাকিস্তানের তরফে দাবি করা হয়েছে, উভয় পক্ষই শান্তি চাইছে।
কিন্তু তালিবান এটিকে বলছে এক “ধোঁকা”। তাদের বক্তব্য, যুদ্ধবিরতি ঘোষণার আগেই পাকিস্তান হামলা চালিয়েছে। মুজাহিদ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি পাকিস্তান আবার বিশ্বাসঘাতকতা করে, তবে তারা “কড়া জবাব” দেবে।

Advertisement

কোন দিকে গড়াচ্ছে পরিস্থিতি?
আমেরিকার দূতাবাস ইতিমধ্যেই সীমান্তে বাড়তে থাকা সংঘর্ষ নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে।
যদি এই যুদ্ধবিরতি ভেঙে যায়, তবে গোটা অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক সঙ্কট ভয়ানক আকার নিতে পারে। এমনকী লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। তবে আপাতত দুই পক্ষই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খোঁজার চেষ্টা করছে, যদিও পরিস্থিতি এখন অত্যন্ত স্পর্শকাতর।

 

POST A COMMENT
Advertisement