বছরের প্রথম দিনেই তাইওয়ান দখলের হুঁশিয়ারি দিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। মঙ্গলবার রাতে জাতির উদ্দেশে নববর্ষে ভাষণে তিনি স্পষ্ট জানান, চিনের সঙ্গে তাইওয়ানের সংযুক্ত হওয়া কেউ আটকাতে পারবে না। যা তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামী শক্তির উদ্দেশে বার্তা বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
গত কয়েক বছর ধরে তাইওয়ানের উপর সামরিক চাপ বাড়িয়েছে বেজিং। তাইওয়ান দ্বীপের কাছাকাছি চিনা যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান চক্কর কাটে। বেজিং দাবি করে আসছে, তাইওয়ান চিনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বেজিংয়ের এই আগ্রাসনকে উড়িয়ে দিয়েছে তাইপেই। তারা জানিয়েছে, তাইওয়ানের সাধারণ মানুষ ঠিক করবে তারা কী চায়। তাইওয়ানিজদের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাতে হবে বেজিংকে।
চিনের সরকারি চ্যানেলে জাতির উদ্দেশে ভাষণে শি জিনপিং বলেছেন,'তাইওয়ান ও চিনের মানুষ একই পরিবারের সদস্য। আমাদের পারিবারিক বন্ধন কেউ ভাঙতে পারবে না। দুই জায়গার সংযুক্তিকরণ আটকানোর ক্ষমতাও কারওর নেই। চিনের সঙ্গে তাইওয়ানের যোগ দেওয়াই বিধির লিখন। দুই জায়গার মানুষই চিনা রাষ্ট্রের ঐতিহ্যের অংশীদার'।
গত কয়েক বছরে চিন ও তাইওয়ানের মধ্যে বেড়েছে উত্তেজনা। বিশেষ করে ২০২৪ সালের মে মাসে লাই চিং-টে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর। স্বাধীন ও সার্বভৌম তাইওয়ানের পক্ষে তিনি। এই লাই চিং-তেকে 'বিচ্ছিন্নতাবাদী' নেতা বলে মনে করে বেজিং হুমকি দিয়ে আসছে, তাইওয়ানের নিয়ন্ত্রণ নিতে শক্তি প্রয়োগ করতে পিছপা হবে না। প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে ক্ষমতায় আসার পর থেকে চিন তিন দফা সামরিক মহড়া চালিয়েছে। তাইওয়ানের আশঙ্কা, চিন বড় পরিসরে সামরিক অভিযান চালাতে পারে। উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ একাধিক দেশ তাইওয়ানের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে।
সম্প্রতি তাইওয়ানকে মার্কিন সামরিক সহায়তা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে চিন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা করেছিলেন, তাইওয়ানকে ৫৭১ মিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা দেওয়া হবে। বাইডেনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে চিনের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, 'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ফের চিনের তাইওয়ান অঞ্চলে সামরিক সাহায্য ও অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে। তা এক-চিন নীতি এবং চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তিনটি যৌথ বিবৃতির লঙঘন'।