scorecardresearch
 

Zakir Nayek : 'গোমাংস খাওয়া ইসলামে...', ভারতের একাধিক রাজ্যে বিফ নিষিদ্ধ নিয়ে মুখ খুললেন জাকির নায়েক

জিও টিভির সাংবাদিক ইরফান সিদ্দিকি নায়েককে ভারতের অনেক রাজ্যে গরুর মাংস নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। জবাবে নায়েক বলেন, ইসলাম অনুযায়ী গরুর মাংস খাওয়া বাধ্যতামূলক নয়। তাই গো-মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করার কোনও আইন যদি থাকে সেটাকে সম্মান করা উচিত। 

Advertisement
zakir Nayek zakir Nayek
হাইলাইটস
  • জাকির নায়েক বলেন, গো মাংসা খাওয়া ইসলামে বাধ্যতামূলক নয়
  • তাই কোনও দেশে আইন থাকলে তা মেনে চলা উচিত

ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড, বিতর্কিত ইসলাম প্রচারক জাকির নায়েক সোমবার  পাকিস্তানে পৌঁছন। পাকিস্তানের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন জাকির।এরইমধ্যে নায়েকের একটি ভিডিও সামনে এসেছে। সেই ভিডিওতে ভারতে গো-মাংস নিষিদ্ধ ইস্যুতে কথা বলতে শোনা যায়। 

জিও টিভির সাংবাদিক ইরফান সিদ্দিকি নায়েককে ভারতের অনেক রাজ্যে গরুর মাংস নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। জবাবে নায়েক বলেন, ইসলাম অনুযায়ী গরুর মাংস খাওয়া বাধ্যতামূলক নয়। তাই গো-মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করার কোনও আইন যদি থাকে সেটাকে সম্মান করা উচিত। 

নায়েক বলেন, 'ইসলামি শরিয়ত বলে, আপনি যে দেশে বাস করেন সেই দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত। যদি না সেই আইন আল্লাহর বিরুদ্ধে যায়। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনও দেশ একটি বিধিনিষেধ আরোপ করে যে আপনার নামাজ পড়া উচিত নয়... ইসলামে নামাজ পড়া একটি কর্তব্য, তাহলে আপনার এই আইন অনুসরণ করা উচিত নয়। কিন্তু গরুর মাংস খাওয়া ইসলামে কর্তব্য নয় এবং কেউ যদি বিধিনিষেধ আরোপ করে তাহলে আমাদের উচিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া।'

গরুর মাংস খাওয়ার বিষয়ে তার ব্যক্তিগত মতামত জানিয়ে জাকির আরও বলেন, 'গরুর মাংস নিষিদ্ধ করা একটি রাজনৈতিক বিষয়। কারণ হিন্দুরাও খায়... তারা নন-ভেজও খায়, মাটনও খায় আবার গরুর মাংসও খায়।' জাকিরের কথায়, 'গরুর মাংস নিষিদ্ধ করার বিষয়টি রাজনৈতিক। অনেক রাজ্যে গরুর মাংস ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ। সম্প্রতি কোনও কোনও রাজ্য তা কার্যকরও করেছে।  কিছু দেশে এমন একটি আইন আছে যে আপনি যদি গরুর মাংস খান তবে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হবে... মনে করুন আপনি যদি কোনও মেয়েকে শ্লীলতাহানি করেন তবে আপনার তিন বছরের কারাদণ্ড হবে... আপনি যদি গরুর মাংস খান তবে আপনি পাঁচ বছরের সাজা খাটবেন।'

Advertisement

জাকির নায়েক শেহবাজ শরিফের আমন্ত্রণে পাকিস্তানে পৌঁছেছেন। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত পাকিস্তানে থাকবেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি ইসলামাবাদ, করাচি এবং লাহোরে ধর্মপ্রচারের কাজ করবেন। 

প্রসঙ্গত, নায়েকের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক প্রচার ও অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় বোমা বিস্ফোরণে তাঁর নাম উঠে আসে। একজন হামলাকারী জানিয়েছিলেন, তিনি জাকির নায়েকের ভিডিও দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন। এর পর নায়েক সপরিবারে ভারতে থেকে পালিয়ে যান। এখন তিনি মালয়েশিয়ায় রয়েছেন। 

পাকিস্তানে যাওয়ার আগেও জাকির নায়েকের একটি সাক্ষাৎকার বেরিয়েছিল যাতে তাকে ভারত নিয়ে কথা বলতে দেখা যায়। পাকিস্তানি ইউটিউবার নাদির আলির সঙ্গে কথা বলার সময় জাকির নায়েক জানান, ভারতে ফিরে যাওয়া তাঁর পক্ষে সহজ নয়। ভারত তাঁর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ করলেও একটিও অভিযোগ প্রমাণিত নয় বলেও দাবি করেন তিনি। 

Advertisement