রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া দেশগুলির উপর ট্যারিফ বসানোই সঠিক পদক্ষেপ। এমনই মন্তব্য করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, 'যে সব দেশ রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করছে, তাদের উপর শুল্ক বসানোই উচিত। আমার মতে এটাই সঠিক পদক্ষেপ।'
জেলেনস্কির দাবি, রাশিয়া থেকে খনিজ কেনা বন্ধ করতে হবে। শুধু তাই নয়, যে কোনও ধরনের বাণিজ্যিক সম্পর্কও বন্ধ রাখতে হবে। তবে যুদ্ধ থামবে।
সম্প্রতি সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) সামিটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল। মোদী ও পুতিন একই গাড়ি করে বৈঠকেও গিয়েছিলেন।
এই দৃশ্য দেখে মোটেও খুশি হননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হঠাতই রাশিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফার বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার ইঙ্গিত দিয়েছেন। হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, রাশিয়ার থেকে তেল কিনছে এমন দেশগুলিকেও এবার নতুন করে আরও ট্যারিফের আওতায় আনা হবে।
মার্কিন অর্থসচিব স্কট বেসেন্টও একই সুরে জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন চাইলে রাশিয়ান তেল আমদানিকারী দেশগুলির উপর আরও শুল্ক চাপাতে পারে। তাঁর দাবি, এই পদক্ষেপ নিলে রাশিয়ার অর্থনীতি ভেঙে পড়বে। পুতিনকে আলোচনার টেবিলে আসতে বাধ্য করা হবে।
উল্লেখযোগ্য বিষয়টি হল, গত মাসেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের একাধিক দ্রব্যের উপর ২৫ শতাংশ 'শাস্তিমূলক' শুল্ক চাপিয়েছে। অভিযোগ, রুশ জ্বালানি কেনার মাধ্যমে ভারত রাশিয়ার যুদ্ধের ফান্ডিংয়ের সাহস জোগাচ্ছে। যদিও নয়াদিল্লি সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে, দেশের জন্য় যেটায় লাভ বেশি, সেই সিদ্ধান্তই নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, রাশিয়ার সঙ্গে চিনের বাণিজ্যিক সম্পর্কও বেশ ভাল। রাশিয়ার তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা চিন। আবার আগামী অক্টোবরে দক্ষিণ কোরিয়ায় চিনেরই প্রসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।