টারিফ, টারিফ আর টারিফ। ক্ষমতায় টিকে থাকতে এই টারিফকেই বারবার হাতিয়ার করছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকী বিভিন্ন দেশের মধ্যে চলা সংঘর্ষ ও যুদ্ধ থামানোর জন্য টারিফই যে তাঁর মূল অস্ত্র তা জানাতেও কোনও দ্বিধা করেননি তিনি। সেই তালিকায় রয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে অপারেশন সিন্দুরের সংঘর্ষও। অন্তত এমনটাই দাবি করেছেন ট্রাম্প স্বয়ং। যদিও ভয়ারত বারবারই ট্রাম্পের এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছে। ভারতের মধ্যে অপারেশন সিন্দুরের সময় দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ থামাতে ট্রাম্প কোনও মধ্যস্থতা করেননি। পাক সেনার শীর্ষ স্তর থেকে প্রস্তাব এসেছিল সংঘর্ষ বিরতির। এরপর সেই প্রস্তাবে সাড়া দেয় ভারত। কিন্তু রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ থামানোর বিষয়টিতে কিছুতেই বাগে আনতে পারছেন না আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। আর তাই তিনি নিদান দেন রাশিয়ার থেকে যে সমস্ত দেশ তেল কিনে পরোক্ষে রাশিয়ার অর্থনীতিকে শক্ত করছে তাদের উপর চড়া শুল্ক চাপানো হবে। সেই মতো ভারত ও চিনের উপরও চড়া শুল্ক আরোপ করা হয়। রাশিয়ার থেকে তেল কেনার জন্য ভারতীয় পণ্যের উপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানো হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে যে সিদ্ধান্ত ট্রাম্প প্রশাসন নিতে চলেছে তা শুনলে কার্যত পিলে চমকে উঠবে। জানা গিয়েছে আমেরিকার সেনেটের প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন আঅমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সেই প্রস্তাবে কী বলা হয়েছে? জানা গিয়েছে আমেরিকার সেনেট সম্প্রতি প্রস্তাব করেছে যে রাশিয়ার থেকে যারা তেল কিনতে সেই সমস্ত দেশের উপর প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ৫০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক চাপানো যাবে। সূত্রের খবর, সেই প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন ট্রাম্প। যার অর্থ হল ভারত, চিনের মতো দেশ যারা রাশিয়ার থেকে তেল কেনার সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটেনি তাদের পণ্যের উপর ৫০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে পারবে আমেরিকা।
Us Senate approves up to 500 percent tariff on Russian oil import countries