মাদক মামলায় যেদিন জেল থেকে জামিনে মুক্তি পান নায়িকা পরীমনি, সেদিন তার হাতে মেহেন্দিতে লেখা ছিল ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’। সবার নজর কেড়েছিল পরীমনির হাতের সেই লেখা।
এবার ফের নজর কাড়ল পরীমনির হাতে লেখা আরেকটি বার্তা। বুধবার মাদকা মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে নিজের হাতে মেহেন্দিতে লেখা মেসেজ দিয়ে সকলের নজর কাড়লেন পরীমনি।
এবার ডান হাতের তালুতে মেহেন্দিতে লিখলেন ‘...ক (গালি) মি মোর’। পরীমনির নতুন এই বার্তা নিয়েও চলছে তার ফ্যান ও সমালোচকদের মধ্যে নানা বিশ্লেষণ। কারণ, আগের স্লোগান ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’-এর সঙ্গে এবারেরটি একেবারে বিপরীত।
বুধবার হাজিরা দেওয়ার জন্য আদালতে যান পরীমনি। বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদারের আদালতে উপস্থিত হন। এ সময় আদালত চত্বরে তিনি ভক্তদের হাত উঁচিয়ে অভিবাদন জানান। সেই সময় তার হাতে মেহেন্দিতে লেখা একটি বার্তা নজর কাড়ে উপস্থিত সকলের। মধ্যাঙ্গুল উঁচিয়ে বিশেষ এই বার্তা পরী কার উদ্দেশে দিয়েছেন, কেন দিয়েছেন, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। ধারণা করা হয়— নিন্দুকের জন্যই তার এমন বার্তা।
এ বিষয়ে পরীমনি বাংলাদেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমার কষ্ট লাগছে এখন। অনেকেই আমার বার্তাটি ঠিক বুঝতে পারছেন না, ভুল বুঝছেন। সবাই ভাবছেন আমি লিখেছি ‘লাভ মি মোর’। আসলে তো আমি লিখেছি ‘...ক (গালি) মি মোর’। যাকে ইংরেজি করলে দাঁড়ায়, 'F*** Me More'। নায়িকা আরও বলেন, যারা আমার জীবন নিয়ে খেলতে চায় বা ঘাটতে আসে, তাদের সবাইকে আমি ওয়েলকাম করছি। আসো। ওয়েলকাম। আমি প্রস্তুত তোমাদের সঙ্গে এই খেলায় অংশ নিতে। দম যতদিন আছে, আমি শেষ অবধি এই খেলায় লড়ে যাব।
এর আগে ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’ বার্তার ব্যাখ্যায় পরীমনি জানিয়েছিলেন, তার সঙ্গে যারা দুমুখো আচরণ করেছেন, যারা তার সুসময়ের ভাগ নিয়ে দুঃসময়ে পাশে ছিলেন না, তাদের উদ্দেশ্যেই ওই বার্তা দিয়েছিলেন তিনি।
গত ৪ অগাস্ট বনানীর বাড়ি থেকে পরীমনি ও তার সহযোগী দীপুকে আটক করে র্যাব। পরীমনির বাড়িতে নাকি বিভিন্ন ধরনের মাদক পাওয়া গেছে বলে জানায় র্যাব। পর দিন ৫ আগস্ট র্যাব মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরীমনি ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করে। এর পর তিন দফায় মোট সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় পরীমনিকে। প্রথম দফায় ৫ আগস্ট চার দিন, দ্বিতীয় দফায় ১০ আগস্ট দুদিন এবং ৩য় দফায় ১৯ আগস্ট একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয় তার। বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন।
মামলায় র্যাব দাবি করছে, পরীমনি ২০১৬ সাল থেকে মাদকসেবন করতেন। এমনকি এলএসডি ও আইসও সেবন করতেন তিনি। এজন্য বাড়িতে একটি ‘মিনিবার’ তৈরি করেন। বাড়িতে নিয়মিত ‘মদের পার্টি’ করতেন। চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ আরও অনেকে তার বাড়িতে অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকের সরবরাহ করতেন ও পার্টিতে অংশ নিতেন।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পরীমনি বলেন, আদালত এখন আমার ভালোই লাগে। এখন তো সয়ে গেছে। এই মামলায় তার পরবর্তী হাজিরা ১০ অক্টোবর।