জামিনে মুক্ত পেয়েছেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমনি। তবে জেলের বাইরে এসে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আর তাইজন্য এবার অভিনেত্রী সোজা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বসলেন।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে পরীমনি লিখেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা, আমাকে কি একটু নিরাপত্তা দিতে পারেন! রাস্তায় মানুষগুলোও এতো অনিরাপদ না। একবার একটু দেখেন না আমার দিকে, কি করে বেঁচে আছি।’
গত ৪ অগাস্ট পরীমনিকে তাঁর বনানীর বাড়ি থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। ব়্যাবের অভিযানে বিদেশি মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করা হয় বলে দাবি করা হয়। পরদিন পরীমনির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে র্যাব।
এরপর ওই মামলায় পরীমনিকে তিন দফায় রিমান্ডে নেয় পুলিশ। আদালতে জামিন পেয়ে গত ১ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের কাশিমপুরের মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি পান নায়িকা।
এর আগেও একবার শেখ হাসিনার কাছে ফেসবুকে সাহায্য চেয়েছিলেন পরীমনি। গত ১৪ জুন রাতে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। রাতে সেই স্ট্যাটাসে তিনি জানিয়েছিলেন, বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
সেবারও শেখ হাসিনার কাছে বিচার চেয়েছিলেন পরীমনি। শৈশবে মাতৃহারা নায়িকা দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘মা’ বলে সম্বোধন করে লিখেছিলেন, ‘আমার আপনাকে দরকার মা। আমার এখন বেঁচে থাকার জন্য আপনাকে দরকার মা। মা আমি বাচঁতে চাই। আমাকে বাঁচিয়ে নাও মা।’
প্রসঙ্গত পরীমনিকে নিয়ে এখন গোটা বাংলাদেশ উত্তাল। অভিনেত্রী জেলে থাকার সময় কয়েকটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল যার মধ্যে একটি ভিডিওকে ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্যও ছড়িয়েছে। ভিডিওতে পুলিশ আধিকারিক গোলাম মহম্মদ সাকলায়েনকে ঘনিষ্ঠ ভাবে চুম্বন করতে দেখা গিয়েছিল পরীমনিকে।
জেল থেকে বেরিয়েই এবার এই ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন পরীমনি। নায়িকার অভিযোগ, তাঁর ফোন, গাড়ি সব কিছুই বাজেয়াপ্ত করেছে তদন্তকারীরা। সমস্ত ব্যক্তিগত ভিডিও যা তাঁর ফোনে ছিল, ভাইরাল করা হয়েছে। ব্যক্তিগত ভিডিও ফাঁস করার কী অধিকার রয়েছে তদন্তকারীদের? প্রশ্ন তুলেছেন পরীমনি। তাঁর আরো অভিযোগ, যে বাড়িতে ছিলেন সেই বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ পর্যন্ত চেক করা হচ্ছে।
পরীমনি জানিয়েছেন, প্রথম থেকেই তিনি শক্ত ছিলেন। যদি সত্যিই কোনো দোষ করে থাকতেন তবে তো তিনি ভেঙে পড়তে। কীভাবে ‘নাটক’ করে তাঁকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, জেলে তাঁর সঙ্গে কেমন ব্যবহার হয়েছে সবটাই ধীরে ধীরে প্রকাশ্য আনবেন বলে তিনি। অনেকে আবার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তাঁর ছবি তুলে অশ্লীল কনটেন্ট বানিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন পরীমনি।