২৭ দিনের বন্দিদশা কাটিয়ে অবশেষে বুধবার জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ঢাকাই সিনেমার নামকার অভিনেত্রী পরীমনি।
২৭ দিনের বন্দিদশা কাটিয়ে অবশেষে বুধবার জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ঢাকাই সিনেমার নামকার অভিনেত্রী পরীমনি।
ঢাকার এক সংবাদ মাধ্যমকে পরীমনি বলেন, ‘আমি কি বাড়িতে বোম বানিয়ে চাঁদের দেশে চলে যাচ্ছি? নাকি আমি হত্যা মামলার আসামি? আমি তো কিছুই বুঝলাম না। আমি কী এমন করেছি? আমি শুরু থেকেই স্ট্রং ছিলাম। আমি যদি অপরাধী হতাম, তাহলে ভেঙে পড়তাম। কিন্তু আমি তো কিছুই করিনি। আমার সঙ্গে কী হয়েছে সব বলব। আমাকে একটু সময় দিন। বেঁচে থাকার জন্য একটা মানুষের মিনিমাম স্পেস তো লাগে। একটা মাস ধরে এই অবস্থা চলছে।’
ব্যক্তিগত গোপন তথ্য প্রকাশ হওয়া নিয়েও বিরক্ত ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা পরীমনি। বিশেষ করে রিমান্ডে তার দেওয়া তথ্য প্রকাশ হওয়ায় বিব্রত তিনি।
রিমান্ডের অভিজ্ঞতা নিয়ে ঢালিউড নায়িকা বলেন, সেভাবে হয়রানি করেনি তারা আমাকে। কি হয়েছে সবই আমি বলব। ফোন, গাড়ি সব সিআইডিতেই আছে। যেসব ভিডিও বাইরে এসেছে সেগুলো ওই ফোনেই ছিল। পরীর বক্তব্য, আমার ব্যক্তিগত ভিডিও লিক করার রাইটস কারও নেই। তাও আমার ফোন থেকে। আমার বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজও নিয়ে যায়।
এদিকে কী তথ্যের ভিত্তিতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় পরীমনির হেফাজত মঞ্জুর করা হয়েছিল তার ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ১০ দিনের মধ্যে এর ব্যাখ্যা দিতে সংশ্লিষ্ট দুই ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করা হয়েছে। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর মামলার নথিসহ (সিডি) তদন্ত কর্মকর্তাকে সশরীরে হাইকোর্টে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
গত ৪ অগাস্ট বিকেলে পরীমনির বনানীর বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় তার বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। ওই দিন রাত সোয়া ৮টার দিকে বনানীর বাড়ি থেকে পরীমনিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাবের সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর গ্রেফতার হন নায়িকা। পরে তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদক মামলা করা হয়। সেই মামলায় বুধবার জামিনে মুক্তি পেয়েছেন পরীমনি।
বুধবার মুক্তি পাওয়ার পর বেশ উৎফুল্ল ছিলেন তিনি। কারামুক্ত হয়েই গাড়ি থেকেই ভক্তদের সঙ্গে সেলফি তোলেন । এসময় পরীমনিকে সবার উদ্দেশে হাত নেড়ে হাসিমুখে শুভেচ্ছা জানাতেও দেখা গেছে।
জেল থেকে সাদা রঙের একটি গাড়িতে করে বের হতে দেখা যায় পরীকে। পরনে ছিল সাদা পোশাক। মাথায় ছিল সাদা পাগড়িও। চোখে কালো চশমা, মাস্কটাও ছিল সাদা রঙের। আর সঙ্গে মুখি মিষ্টি হাসি।