
গত ফেব্রুয়ারিতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবনের অর্ধেকের বেশি অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রায়দানের দিন এবার বঙ্গবন্ধুর বাসভবনের দিকে এগোতে দেখা গেল একাধিক বুলডোজার। কিন্তু কেন?

ঢাকায় সোমবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের বাসভবনের সামনে মিরপুর সড়কে এক্সকাভেটর দেখা গিয়েছে। বাসভবনের সামনে বুলডোজার ঢোকানোর চেষ্টা করতেই বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। লাঠিচার্জ করে নিরাপত্তাবাহিনী।

বিক্ষোভকারীদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ করে ইটপাটকেল ছুড়তে দেখা যায়। ঘটনায় পুলিশের এক সদস্যের মাথা ফেটে গিয়েছে বলে খবর। একদল বিক্ষোভকারী ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জড়ো হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে শতাধিক সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।

ধানমন্ডি অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার জিসানুল হক সংবাদমাধ্যমে বলেন, 'আমরা কোনওমতেই কাউকে আইন হাতে তুলে নিতে দেব না।'

বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রায়দান ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলার ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায় শোনাচ্ছেন বিচারপতি।

রাজসাক্ষী হয়ে গিয়েছে, শেখ হাসিনার সঙ্গে একই অপরাধে অভিযুক্ত বাংলাদেশের প্রাক্তন পুলিশকর্তা আল-মামুন। তিনি উপস্থিত রয়েছেন ট্রাইব্যুনাল চত্বরে।

হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের বিভিন্ন অংশে বিক্ষিপ্ত অশান্তি চলছে। রবিবার রাত থেকে অশান্তির ঘটনা বেড়েছে। রাজধানী ঢাকায় ১৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল চত্বরেও নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হয়েছে।

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে টিএসসি এলাকায় অবস্থানবিক্ষোভ শুরু হয়েছে। গাড়ি, অ্যাম্বুল্যান্স, বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।

পেট্রোল বোমা, ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঢাকার পুলিশ দুষ্কৃতীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দিয়েছে।

এদিকে, রায়দানের আগেই শেখ হাসিনা দাবি করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যে। মুজিবকন্যা বলেন, 'আল্লাহ জীবন দিয়েছেন, তিনিই নেবেন।'