
মহা মুশকিলে পড়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বাসযোগ্যতা এতটাই তলানিতে ঠেকেছে যে, বহু দেশই এখন বাংলাদেশিদের ভিসা দিতে চাইছে না।

পশ্চিমবঙ্গেও দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশিরা দেশে ফিরে যাচ্ছেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। উত্তর ২৪ পরগনায় পেট্রাপোল সীমান্তে বাংলাদেশিরা দেশে ফিরে যাচ্ছেন প্রচুর সংখ্যায়।

ভারত তো আগেই ভিসা দেওয়া বন্ধ করেছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশও সেই পথেই হাঁটছে। বাংলাদেশি পড়ুয়াদের শিক্ষার জন্যও ভিসা দেওয়া হচ্ছে না অনেক দেশে।

বিবিসি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী,শিক্ষা ভিসার পাশাপাশি, পর্যটন ভিসা, শ্রমিক ভিসা দেওয়াও হচ্ছে না বাংলাদেশিদের। ভারত আগেই বাংলাদেশকে পর্যটন ভিসা দেওয়া বন্ধ করেছিল। নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। কিন্তু অন্যান্য দেশে তো তা নেই। তবুও তারা বাংলাদেশিদের ভিসা দিচ্ছে না।

আসলে বাংলাদেশিদের উপর ভরসা করছে না বহু দেশ। এমনই ইমেজ তাঁরা তৈরি করেছেন বিশ্বে। বিশেষ করে ভিসার অপব্যবহার করে একদেশ থেকে অন্য দেশে গিয়ে বসবাসের অভিযোগও উঠেছে বহু বাংলাদেশির বিরুদ্ধে। তাই বিশ্বাস করা যাচ্ছে না।

এখানেই শেষ নয়, বাংলাদেশে ইউনূস সরকারের আমলে অরাজকতার শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে দেশটির পরিস্থিতি। বিদেশেও প্রকাশ্যে রাজনৈতিক দলের কর্মী সমর্থকরা মারপিট করছে। তার ফলে বাংলাদেশের ইমেজ খারাপ হয়ে গিয়েছে বিশ্বে। পাসপোর্ট র্যাঙ্কিংয়েও অনেক নীচে নেমে গিয়েছে।

ভারত ছাড়াও যে সব দেশ বাংলাদেশিদের ভিসা দিতে চাইছে না, সেগুলি হল, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, কাতার, বাহরিন, ওমান, উজবেকিস্তান, সৌদি আরব, ভিয়েতনাম। ইন্টারেস্টিং হল, এগুলি সবই মুসলিম প্রধান দেশ। এমনকী থাইল্যান্ডও বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা দিতে চাইছে না। শেষ মুহূর্তে খারিজ করে দিচ্ছে।

বিবিসি-র খবর অনুযায়ী, বিশ্বের ৩৮টি দেশে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণের সুযোগ আছে বাংলাদেশের নাগরিকদের। এই তালিকার বেশিরভাগ দেশই আফ্রিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলের, যেখানে বাংলাদেশিদের যাতায়াতের প্রবণতা বেশ কম।

এছাড়া বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নানা রাজনৈতিক সঙ্কট ও অশান্তি দীর্ঘ দিন ধরে চলে। সেই কারণে অনেকেই দেশ ছেড়ে ভিনদেশে বসবাসের চেষ্টা করছে। তাই বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলি আগে থেকেই সতর্ক থাকছে।

বাংলাদেশিদের এখন অবস্থাটা হল, দেশে টিকতে পারছে না। আর অন্যান্য দেশগুলি বাংলাদেশিদের বিশ্বাস করতে পারছে না।