scorecardresearch
 
Advertisement
বাংলাদেশ

Dhaka Metro: নতুন ইতিহাসের সামনে বাংলাদেশ, বছর শেষের আগেই ঢাকায় ছুটবে মেট্রো

Dhaka Metro
  • 1/7

আগামী ২৮ ডিসেম্বর বিদ্যুৎ–চালিত মেট্রোরেলব্যবস্থার যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এদিন রাজধানী ঢাকার উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল উদ্বোধন হবে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নিজেদের গণপরিবহন ব্যবস্থায় এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন করবে । সূচনা করবে এক নতুন যুগের।  সূত্র বলছে,ওই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর গণপরিবহনের এই নতুন দিগন্তের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। তবে সাধারণ যাত্রীদের মেট্রোরেলে উঠতে আরও এক দিন অপেক্ষা করতে হবে। এখন পর্যন্ত যে পরিকল্পনা, সে অনুযায়ী উদ্বোধনের পরদিন থেকে টিকিট কেটে তাঁরা মেট্রোরেলে চড়তে পারবেন। যদিও মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক চলাচল ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। 

Dhaka Metro
  • 2/7

মেট্রোরেল উদ্বোধনে দুই হাজার অতিথি নিয়ে অনুষ্ঠান হবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। প্রধানমন্ত্রী প্রথম টিকিট কেটে ট্রেনে চড়বেন। অপরদিকে ক্ষমতাসীন আওয়মি লিগ মেট্রোরেলের উদ্বোধন উপলক্ষে বড় একটি জনসমাগমও করবে । আওয়ামি লিগের দলীয় সূত্র বলছে, মেট্রোরেলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, ফলক উন্মোচনসহ সব কর্মসূচিই সরকারি। কিন্তু প্রকল্পের উদ্বোধন উপলক্ষে দলিয় নেতা-কর্মীদের বড় সমাবেশ দেখানো অনেকটা ধন্যবাদ জানানোর মতো। 
 

Dhaka Metro
  • 3/7

ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। ডিএমটিসিএল সূত্র বলছে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের যে প্রাথমিক পরিকল্পনা করা হয়েছে, তা থেকে জানা যাচ্ছে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতাসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগারগাঁও স্টেশনে যাবেন। সেখান থেকে তিনি প্রথম যাত্রী হিসেবে টিকিট কেটে ট্রেনে চড়বেন। প্রধানমন্ত্রী স্থায়ী কার্ডের মাধ্যমে টিকিট কাটবেন বলে জানা গেছে। এরপর তিনি ট্রেনে চড়ে উত্তরা স্টেশনে গিয়ে নামবেন, যেটি সর্বশেষ স্টেশন। সেখানে মেট্রোরেলের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন। সেখানকার আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে হাসিনা আবার মেট্রোরেলে চড়ে আগারগাঁও চলে আসবেন। 
 

Advertisement
Dhaka Metro
  • 4/7

এই পথ চলার সময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের জন্য কিছু নির্দেশও জারি হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ও জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) যৌথ র্অথায়নে  ঢাকার উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ কিলোমিটারের বেশি দৈর্ঘ্যের প্রথম মেট্রোরেল (এমআরটি লাইন-৬) প্রকল্প হাতে নেওয়া হয় ২০১২ সালে। ২৮ ডিসেম্বর এই পথের একাংশ, উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চালু হচ্ছে। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ চালুর পরিকল্পনা রয়েছে আগামী বছরের শেষ দিকে। মতিঝিল থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত অংশ চালু হতে পারে ২০২৫ সালে। এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাইকা দিচ্ছে ১৯ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা। বাংলাদেশ সরকার ব্যয় করছে ১৩ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা।

Dhaka Metro
  • 5/7

 ঢাকায় মেট্রোরেলের সর্বনিম্ন ভাড়া ঠিক করা হয়েছে ২০ টাকা। আর উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ভাড়া হবে ১০০ টাকা। দূরত্বভেদে ভাড়া ভিন্ন হবে। স্থায়ী কার্ড কিনে মেট্রোরেলের টিকিট কাটা যাবে। এর জন্য সময় সময় টাকা রিচার্জ হবে। এ ছাড়া তাৎক্ষণিকভাবে স্টেশন থেকেও টিকিট কাটা যাবে। শুরুর দিকে ঢাকার উত্তরা স্টেশন থেকে আগারগাঁও যেতে সময় লাগবে প্রায় ২০ মিনিট। পরে সময় ১৬ থেকে ১৭ মিনিটে নেমে আসবে। উদ্বোধনের পর দুই থেকে তিন মাস কম যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে ট্রেনগুলো। প্রথম দিকে সকালে কিছুক্ষণ, আবার বিকেলে কিছুক্ষণ ট্রেন চলবে। সব মিলিয়ে দিনে চলবে পাঁচটি ট্রেন। যদিও একটা সময় প্রতি চার মিনিট পরপর ট্রেন চলার কথা রয়েছে।
 

Dhaka Metro
  • 6/7

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট নিরসনে ২০৩০ সালের মধ্যে ছয়টি মেট্রোরেল চালুর  পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ।  এর একটি উত্তরা থেকে মতিঝিল হয়ে কমলাপুর পর্যন্ত, যার একাংশ চালু হতে যাচ্ছে। মেট্রোরেল লাইন-৬ পুরোপুরি চালু হলে শুরুতে দৈনিক ৪ লাখ ৮৩ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে বলে জানিয়েছে ডিএমটিসিএল। ছয়টি মেট্রোরেল লাইন চালু হলে দৈনিক ৫০ লাখ যাত্রী পরিবহন করা যাবে। শুধু লাইন-৬ চালু হলে ঢাকায় কার্বন নিঃসরণ ২ লাখ টনের মতো কমবে। লাইন-৬–এর পর কাজ শুরু হবে লাইন-১–এর। 
 

Dhaka Metro
  • 7/7

বাংলাদেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্পে জাপান, ফ্রান্স, ভারত ও বাংলাদেশের আট প্রতিষ্ঠানকে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ করেছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড। কমলাপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত পাতালপথে (এমআরটি লাইন-১)–এর সার্বিক নির্মাণকাজ তদারক করবে এসব পরামর্শক প্রতিষ্ঠান।  মেট্রোরেল চালু হলে ঢাকার উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত নির্দিষ্ট সময়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। পাশাপাশি যাত্রাও হবে আরামদায়ক। গন্তব্যে পৌঁছাতে যাত্রীদের সময় বাঁচবে কয়েকগুণ। একটি ট্রেনে বসে যেতে পারবেন ৩০৬ জন। প্রতিটি কোচ সাড়ে ৯ ফুট চওড়া। মাঝখানের প্রশস্ত জায়গায় যাত্রীরা দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করবেন। পুরোদমে চালুর পর মেট্রোরেল ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করবে।
 

Advertisement