scorecardresearch
 
Advertisement
বাংলাদেশ

আফগানিস্তানে তালিবান রাজ, ভয় পাচ্ছে বাংলাদেশ?

 bangladesh
  • 1/11

তালিবানদের নিয়ে বাংলাদেশে অনেক হৈচৈ চলছে। বাংলাদেশের বড় অংশের মানুষ তালিবানদের পক্ষে। এমন পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনা সরকার ধর্মীয় উগ্রবাদ ও গোঁড়ামি বাড়ার ব্যাপারে শঙ্কিত। বাংলাদেশে ইতিমধ্যে অনেক চরমপন্থী ও কট্টরপন্থী ইসলামী সংগঠন রয়েছে। অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক বিশ্বাস করেন যে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় আসার ফলে বাংলাদেশ অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বাংলাদেশের উগ্র ইসলামী সংগঠনগুলো তালেবানদের বিজয়কে তাদের বিজয় হিসেবে দেখছে। বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এর প্রভাব দৃশ্যমান।
 

 bangladesh
  • 2/11

বাংলাদেশে, সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক গ্রুপ তালিবানের সমর্থনে পোস্ট করছে। অনেকে প্রকাশ্যে তালেবানকে সমর্থন করছে। উদাহরণস্বরূপ, রশিদ কাঞ্চন তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, "ব্যক্তিগতভাবে, আমি তালfবানদের প্রতি শ্রদ্ধা অনুভব করি। তালfবানরা তাদের দেশকে বিদেশী শক্তির হাত থেকে মুক্ত করার জন্য ২০  বছরের দীর্ঘ যুদ্ধ করেছে। তুমি কি তোমার দেশের জন্য যুদ্ধ করো না?"
 

 bangladesh
  • 3/11

তালিবানের সমর্থনে আরেকটি ফেসবুক গ্রুপ তার পোস্টে লিখেছে, “বিশ্বের দ্রুততম ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির দেশ আফগানিস্তানকে সমর্থন করছে। বাংলাদেশও তাই করবে।“ অনেকে ভারতের নিন্দাও করেছেন।
 

Advertisement
 bangladesh
  • 4/11

যাইহোক, এমন নয় যে বাংলাদেশের মানুষ শুধুমাত্র তালিবানদের সমর্থনে পোস্ট করছে। অনেকে ফেসবুকে তালিবানের বিরুদ্ধেও লিখছেন। নাট্যকার ও সাংবাদিক পাভেল রহমান কাবুল বিমানবন্দরের পরিস্থিতি নিয়ে লিখেছেন। বিমানবন্দরে আফগানরা তালিবানদের ভয়ে দেশ ছাড়ছে। পাভেল লিখেছেন, "বিমানবন্দরের ভেতরের দৃশ্যটি ভীতিকর। মানুষ তাদের জীবন বাঁচাতে দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে। পৃথিবীর রাজনীতি পুঁজিপতিদের হাতে। রাজনীতি যখন অসুস্থ, তখন দেশের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে না। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে মানুষ তাদের দেশ থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। রাজনীতি ক্ষমতাবানদের জন্য নয়, জনগণের জন্য হওয়া উচিত। বাংলাদেশ শিক্ষায় মনোযোগ দিক এবং সুস্থ থাকুক।"

 bangladesh
  • 5/11

বাংলাদেশে যারা তালিবানকে সমর্থন করে তাদের টার্গেট করছে অনেক মানুষ। পাভেল রহমান লিখেছেন, "মানুষ আবারও তালিবানদের সমর্থনে বেরিয়ে আসছে। তালেবানদের বিজয় বাংলাদেশে সমর্থন পাচ্ছে। আমি ওসামা বিন লাদেনের সময় একই রকম সমর্থন দেখেছি। যাইহোক, বিন লাদেন আমেরিকার হাতে নিহত হন এবং তার সমর্থকরাও বিতাড়িত হন। আবার একই ঘটনা ঘটবে। "

 bangladesh
  • 6/11

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা বলছেন, তালেবানের জয় এখানে মৌলবাদী ইসলামী দলগুলোকে অনুপ্রেরণা দেবে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ পিস অ্যান্ড স্টাডিজের প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক সাফাকাত মুনির বলেন, "আফগানিস্তানে দাঙ্গা বাংলাদেশে প্রভাব ফেলতে বাধ্য। বাংলাদেশে অনেক মৌলবাদী সংগঠন আছে। বাংলাদেশের কট্টর সংগঠনগুলো তালেবানের বিজয়কে তাদের বিজয় হিসেবে দেখছে। তালেবানদের ব্যাপারে ঢাকা পুলিশও সতর্ক। বাংলাদেশে তালিবানের উত্থান প্রশংসিত হচ্ছে। বাংলাদেশে ধর্মীয় উগ্রবাদ হাওয়া পেতে পারে।

 bangladesh
  • 7/11

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন তালিবানের ব্যাপারে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এক বিবৃতিতে বলেন, "আফগানিস্তানের নতুন সরকারকে স্বাগত জানাতে বাংলাদেশ প্রস্তুত আছে যদি জনগণের সমর্থন থাকে।" তিনি বলেন, আমরা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকারকে বিশ্বাস করি। আমরা এমন সরকারে বিশ্বাস করি যা সে দেশের মানুষ পছন্দ করে। আমরা গণতান্ত্রিক সরকারের পক্ষে। মোমেন বলেন, যদি তালিবান সরকার জনগণের সমর্থন পায়, তাহলে বাংলাদেশ অবশ্যই এর জন্য তার দরজা খুলে দেবে।
 

Advertisement
 bangladesh
  • 8/11

মোমেন বলেন, বাংলাদেশ সব দেশের সাথে বন্ধুত্ব চায় এবং যদি কোন দেশ তার সাহায্য চায় তাহলে অবশ্যই সে এগিয়ে আসবে। তিনি বলেন, আফগানিস্তান বাংলাদেশের বন্ধু এবং সার্কের সদস্য দেশও। বাংলাদেশ চায় আফগানিস্তানের উন্নয়ন হোক।
 

 bangladesh
  • 9/11

বাংলাদেশে পাকিস্তানের প্রতি ক্রমবর্ধমান সমর্থন 
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান প্রকাশ্যে তালিবানদের সমর্থন করেছেন। ইমরান খান আফগানিস্তানে তালিবানদের দখলের পর বলেছিলেন যে আফগানরা দাসত্বের শেকল ভেঙে ফেলেছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশেও মৌলবাদীদের প্রভাব বেড়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও স্বীকার করেছেন যে তালিবান ইস্যুতে অনেক চরমপন্থী গোষ্ঠী পাকিস্তানের সঙ্গে  রয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বলেছিলেন যে তিনি আফগানিস্তান ইস্যুতে পাকিস্তানের সাহায্য নেবেন না। এর পাশাপাশি তিনি চরমপন্থীদের সতর্কও করেছিলেন।

 bangladesh
  • 10/11

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহাম্মদ শাইফুকুল ইসলাম বলেছেন, আফগানিস্তানে তালিবানের আগমন বাংলাদেশে উগ্রবাদীদের উৎসাহিত করতে পারে। তিনি বলেছেন, আফগানিস্তানে তালিবানদের বিজয়ে বাংলাদেশের উগ্রবাদীরা খুশি। তিনি বলেন, উপমহাদেশের মৌলবাদীরা তালেবানদের বিজয়ে খুশি। শাইফুকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো এ ব্যাপারে সতর্ক রয়েছে। কিছুদিন আগে শাইফুকুল ইসলামও ভারতকে সতর্ক করেছিলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে কিছু যুবক তালিবানে যোগ দিতে আফগানিস্তানে যেতে চেয়েছিল। তারা কাবুল পৌঁছানোর জন্য ভারতকে ব্যবহার করতে পারত, তাই আমরা বিএসএফকে সতর্ক করেছিলাম।
 

 bangladesh
  • 11/11


বুদ্ধিজীবীদের প্রতিক্রিয়া 
তালিবানদের সম্পর্কে বাংলাদেশের শিক্ষিত মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর অবস্থান খুবই স্পষ্ট যে তারা তালিবান শাসনের বিরুদ্ধে।  তারা কোনোভাবেই তালিবানের শাসন চান না। পতেঙ্গ সিটি কর্পোরেশন কলেজের বাঙালির অধ্যাপক ও কবি ফুয়াদ হাসান বলেন, "বাংলাদেশের সুশীল সমাজ এবং শ্রমজীবী ​​মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠী আফগানিস্তানে তালেবানদের উত্থানের তীব্র বিরোধী। তারা তালেবান সম্পর্কে উদ্বিগ্ন। অনেক নারী আমাদের দেশে চাকরি করে। এই দিকে মনোযোগ দিতে হবে।

Advertisement