scorecardresearch
 

Gazi Abdun Noor: বাংলাদেশে পাকিস্তানের প্রতি বাড়ছে সমর্থন, গর্জে উঠলেন নূর

রাণী রাসমণি রাজচন্দ্র হিসাবে তাঁর অভিনয় আজও মনে রেখেছে এপারের দর্শক। গত দু'বছর হল বাংলাদেশে থাকলেও কলকাতায় অভিনয় করতে চান, আজতক বাংলাকে একান্ত সাক্ষাৎকারে আগেই জানিয়েছিলেন অভিনেতা গাজী আব্দুন নূর। বাংলাদেশে এখন চুটিয়ে অভিনয় করছেন তিনি। তবে এর মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একেবারে প্রতিবাদী মেজাজে পাওয়া গেল অভিনেতাকে। ঠিক রাণী রাসমণি স্বামী রাজচন্দ্র হিসাবে যেকোন অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেন।

Advertisement
নূরকে এবার পাওয়া গেল প্রতিবাদী মেজাজে নূরকে এবার পাওয়া গেল প্রতিবাদী মেজাজে
হাইলাইটস
  • করুণাময়ী রাণী রাসমণির রাজচন্দ্র হিসেবে আজও তাঁকে মনে রেখেছে এপার বাংলা
  • সেই নূরকে এবার পাওয়া গেল প্রতিবাদী মেজাজে
  • ফেসবুকে কেন ক্ষোভ উগরে দিলেন অভিনেতা?

রাণী রাসমণি  রাজচন্দ্র হিসাবে তাঁর অভিনয় আজও মনে রেখেছে এপারের দর্শক। গত দু'বছর হল বাংলাদেশে থাকলেও কলকাতায় অভিনয় করতে চান, আজতক বাংলাকে একান্ত সাক্ষাৎকারে আগেই জানিয়েছিলেন অভিনেতা গাজী আব্দুন নূর। বাংলাদেশে এখন চুটিয়ে অভিনয় করছেন তিনি। তবে এর মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একেবারে প্রতিবাদী মেজাজে পাওয়া গেল অভিনেতাকে। ঠিক রাণী রাসমণি স্বামী রাজচন্দ্র হিসাবে যেকোন অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেন।

 

 

বাংলাদেশে বসে যারা পাকিস্তানের গুণগান গাইছেন, তাদের প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অভিনেতা।  নূর ফেসবুকে লিখলেন, ‘এই প্রজন্মের যারা পাকিস্তান পছন্দ করেন অথবা আগামী প্রজন্মের যারা পাকিস্তানকে পছন্দ করবেন তার অবশ্যই বংশপরম্পরায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ঔরসজাত সন্তান। যারা বাংলা ভাষা চায়নি, যারা বাংলাদেশ চায়নি তাদের প্রতি প্রেম মুসলিমত্ব এর দোহাই দিয়ে! তারা মুসলিম কিনা জানিনা তবে অবশ্যই মানুষ নয়।’ সঙ্গে অভিনেতা জুড়ে দেন, ‘হ্যাঁ এটা একটি রাজনৈতিক পোস্ট। আমি সশরীরে রাজনীতি না করলেও আমার রক্ত চুপ করে থাকে না…’

 

কিন্তু কেন হঠাৎ রেগে গেলেন এই তরুণ অভিনেতা? তার কারণও রয়েছে। সম্প্রতি আনন্দবাজার  ডিজিটালের হয়ে কলম ধরেছেন নূর। যেখানে তিনি জানিয়েছিলেন , ‘বেশ কিছুদিন ধরে আমার ফেসবুক পোস্টে এবং ইনবক্সে কিছু মানুষ আমায় বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে, তাদের ফেক প্রোফাইল দিয়ে। আমি নিশ্চিত, এরা মূলত জামাত ইসলাম শিবিরের লোক। যা বাংলাদেশে সরকারিভাবে অবৈধ এবং নিষিদ্ধ। …ভারতবর্ষের প্রতি আমার সম্মান নিয়েও তাদের আপত্তি। শেষ কিছু দিন, আমার ফেসবুকে এদের সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।’

নিজের ফেসবুকের পোস্টের সমর্থনেই নূর আরও মনে করেন, ‘যারা বাংলা ভাষা চায়নি, যারা বাংলাদেশ চায়নি, সেই পাকিস্তানের প্রতি যাদের ভালবাসা তারা অবশ্যই ‘পাকিস্তানি উদ্বাস্তু’ হিসেবে বাংলাদেশে অবস্থান করছে।’

Advertisement

নূর তাঁর ফেসবুক পোস্টের কমেন্ট সেকশনেও একের পর এক  প্রতিক্রিয়া দিয়েছে।  কোথাও তিনি লিখেছেন, ‘এই পোস্ট শুধুমাত্র বাংলাদেশে প্রীতি এবং দেশাত্মবোধ বোঝানো হয়েছে। এই পোস্টটি করা সাহসের পরিচয় নয়, শিক্ষার পরিচয়। যে শিক্ষা মূল্যবোধ তৈরি করে। তাই পোষ্টটি ডিলিট করব না।’

 

 

আরেকটি কমান্টে নূর লিখেছেন, "আমি রীতিমত একটু অবাক হচ্ছি!!অনেক পাকিস্তানি কমেন্টস করছে বাংলা ভাষায়!! হয়তো উর্দু ভাষা টা এখনো শিখে উঠতে পারেনি... পাকিস্তানিদের গালাগালি দিলে ভারতের দালাল !! ১৯৭১ এই কথাগুলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের এই কথাও শুনতে হয়েছিল। যদিও আমি আগেই বলেছি কিছু আবাল এর জন্য পোস্টটি করা!! তবে আবালদের সংখ্যা যে এত বেশি সেটা জানতাম না। "

প্রসঙ্গত নূর জানিয়েছেন  তাঁর মা, বাবা, ছোট কাকা মুক্তিযোদ্ধা। সেই পরিবারের সন্তান হিসেবে পাকিস্তান এবং পাক-পন্থীদের সঙ্গে হৃদ্যতার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। নিজের লেখায় নূর লিখেছেন, ‘অনেকেই হয়তো বলবেন, ক্ষমা মহৎ গুণ। আমি বলব, ১৯৭১-এ যে দেশের (পড়ুন পাকিস্তান) সেনাদের একটাই লক্ষ্য ছিল, বাংলাদেশকে পাকপন্থী তৈরি করা, তার জন্য আমাদের দেশের ৩০ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রম নিতেও তাদের হাত থামেনি, আমি তাদের ক্ষমা করে মহৎ হতে চাই না।’

 

Advertisement