scorecardresearch
 

বাংলাদেশে এবার খুলে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়, দিন ঘোষণা করে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী

মহামারি করোনায় কারণে বন্ধ ছিল দীর্ঘ একবছর, তবে এবার সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশ সরকার। বর্তমানে দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব কিছুটা কমে যাওয়ায় সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশের শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

Advertisement
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি
হাইলাইটস
  • প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ বাংলাদেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
  • এবার উচ্চশিক্ষা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত হাসিনা সরকারের
  • ১৭ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়া হচ্ছে

মহামারি করোনায় কারণে  বন্ধ ছিল দীর্ঘ একবছর, তবে এবার  সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশ সরকার।  বর্তমানে দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব কিছুটা কমে যাওয়ায় সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশের শিক্ষামন্ত্রী  দীপু মনি।  দেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বারবার শিক্ষার্থীদের তরফ থেকে হল খুলে দেওয়ার দাবির মধ্য সরকারের তরফ থেকে এই ঘোষণা এল।  

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন-সংগ্রামের ভেতর সোমবার অনলাইনে জরুরি সংবাদিক সম্মেলন করেন হাসিনা মন্ত্রিসভার শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার তারিখ ঘোষণা করেন তিনি।  মন্ত্রী জানান, দেশের সমস্ত সরকারি  বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ২৪ মে থেকে শুরু হবে এবং হল খুলবে ১৭ মে। এর আগে সকল ধরনের পাঠদান ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। ১৭ মে এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আবাসিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারিদের করোনা টিকা প্রদান করা হবে।

বাঙালির মুক্তিসংগ্রাম, রক্তের বিনিময়ে অক্ষর, যে পথে হেঁটেই মুক্তিযুদ্ধ

এছাড়া, বিসিএস পরীক্ষার আবেদন ও পরীক্ষার তারিখ বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নির্ধারণ করা হবে। স্কুল কলেজ খোলার বিষয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারির পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে বাংলাদেশে।২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আপাতত বাংলাদেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে  ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। 

গত ২২ জানুয়ারি করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে গাইডলাইন প্রকাশ করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষামন্ত্রক। এই গাইডলাইন অনুসরণ করে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। স্কুল-কলেজগুলোতে ৩৯ পাতার গাইডলাইন পাঠিয়ে বলা হয়েছে, ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে স্কুলগুলো প্রস্তুত করে রাখতে, যাতে যে কোনো মুহূর্তে সেগুলো খুলে দেয়া যেতে পারে।

Offbeat Bangladesh: অজানা ওপার বাংলা! ভ্যাকসিন নিয়ে ঘুরে আসুন এই জায়গাগুলিতে

 করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে গোটা বিশ্বকে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের এই প্রতিকূল স্রোতের মুখোমুখি বাংলাদেশও। অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মতো বাংলাদেশের জন্য আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে শিক্ষা খাত। প্রায় ১২ মাস ধরে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। কিছু ক্ষেত্রে অনলাইনে কার্যক্রম চলছে। তবে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম কতটা ফলপ্রসূ হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় চলতি বছর উচ্চ মাধ্যমিক  ও সমমানের পরীক্ষায় অটো প্রমোশন ঘোষণা করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষাও। এবার করোনার ঢেউয়ের মুখে ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যত।

Advertisement

 বাংলাদেশে  করোনা পরিস্থিতি বলা যায় আগের মতোই। প্রতিদিন মৃত্যু ও শনাক্তের শঙ্কা উঠা-নামা করছে। অন্যদিকে দরজায় কড়া নাড়ছে এসএসসি’২১ ব্যাচের পরীক্ষার সময়। গত বছর এসএসসি ২০২০ ব্যাচের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ফেব্রুয়ারিতে। এ বছর ফেব্রুয়ারি চলছে। কিন্তু এর মধ্যে পরীক্ষা নেওয়ার বা দেওয়ার মতো কোনো প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে করোনার ভয় রয়েছে। ফলে তড়িঘড়ি পরীক্ষা দিতে অনাগ্রহী শিক্ষার্থীরা। ২০২১ সালে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থী রয়েছে প্রায় ২০ লাখ। এসব শিক্ষার্থী বছরের প্রায় পুরোটাই ক্লাস-পরীক্ষা থেকে দূরে রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু প্রায় ৯ মাস ক্লাস-পরীক্ষা থেকে দূরে থাকার পর ব্যাপকভাবে মানসিক চাপে বাংলাদেশের ২০ লাখ কিশোর-কিশোরী।

 

Advertisement