scorecardresearch
 

Violence in Bangladesh: মন্দিরে হামলার জের! ফের ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হওয়ার পথে বাংলাদেশ?

গত কয়েকদিনে বাংলাদেশের হিংসার ঘটনা নিয়ে এখন কেবল সেদেশ নয় তোলপাড় চলছে ভারতেও। এই আবহে বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রীর মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রস্তাবিত ১৯৭২ সালের সংবিধান ফেরানোর দাবি করেছেন সেদেশের তথ্যমন্ত্রী মুরাদ হাসান ।

Advertisement
 ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হওয়ার তোরজোর শুরু বাংলাদেশে? ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হওয়ার তোরজোর শুরু বাংলাদেশে?
হাইলাইটস
  • ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হওয়ার তোরজোর শুরু বাংলাদেশে
  • ৭২’এর সংবিধান পুনর্বহালের ভাবনা
  • এমন কথাই বলছেন শেখ হাসিনার মন্ত্রী

বঙ্গবন্ধু ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখতেন। স্বাধীনতার পর মুক্তিযুদ্ধের চার মূলনীতি জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রই বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসাবে গ্রহণ করা হয়েছিল। ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর বাংলাদেশের সংবিধান পাসের মুহূর্তে গণপরিষদে দেওয়া ভাষণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু চারটি মূলনীতির ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। সংবিধান কার্যকর হয় ওই বছরের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিজয় দিবসে। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সকলের মিলিত রক্তস্রোতের বিনিময়ে। যা বাঙালি জাতীয়তাবাদের অর্জিত ফসল। বঙ্গবন্ধুর সুদীর্ঘ সংগ্রামে জাতি অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উজ্জীবিত হয়েছিল। ফের একবার মুজিবুর রহমানের প্রস্তাবিত ১৯৭২ সালের সংবিধান ফেরানোর কথা চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে বাংলাদেশে। এমনটাই দাবি করছেন সেদেশের তথ্যমন্ত্রী মুরাদ হাসান। 

আরও পড়ুন: হৃদয় বিদারক পোস্ট চঞ্চলের, হাসিনার অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তসলিমার

গত কয়েকদিনে বাংলাদেশের হিংসার ঘটনা নিয়ে এখন কেবল সেদেশ নয় তোলপাড় চলছে ভারতেও। এই আবহে বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রস্তাবিত ১৯৭২ সালের সংবিধান  ফেরানোর দাবি করেছেন সেদেশের তথ্যমন্ত্রী মুরাদ হাসান । মুরাদ বলেছেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হল বাংলাদেশ। ধর্মীয় মৌলবাদীদের অভয়ারণ্য হতে পারে না বাংলাদেশ। মুক্তিযোদ্ধাদের রক্ত বইছে আমাদের শিরায় শিরায়। ১৯৭২ এর সংবিধান ফেরাতে হবে। প্রয়োজনে পার্লামেন্টে গিয়ে প্রস্তাবিত সংবিধানে ফিরে যাওয়ার দাবি জানাব’।

 

 

মুজিবুরের কনিষ্ঠতম পুত্র শেখ রাসেলের ৫৭ তম জন্মবার্ষিকীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে মুরাদ বলেন, ‘আমরা আবার ১৯৭২ এর সংবিধানে ফিরে যাব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই পার্লামেন্টে আমরা ওই বিল কার্যকর করে দেখাব। ইসলামকে আমরা আমাদের রাষ্ট্রধর্ম বলে মানি না’। বর্তমান সময়ে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় হাসিনার তথ্যমন্ত্রী  বিএনপি-জামাত জোটকে নিশানা করেছেন।

Advertisement

 

 

আরও পড়ুন: ফের সংখ্যালঘু নির্যাতন বাংলাদেশে, রংপুরে পরপর হিন্দুদের বাড়িতে আগুন

প্রসঙ্গত ১৯৭১-এ পাকিস্তানের থেকে স্বাধীনতা লাভের পরে ১৯৭২ সালে মুজিবর রহমান নতুন সংবিধান পাশ করেছিলেন। সেখানে বাংলাদেশকে ধর্মনিরপেক্ষ বলে বর্ণনা করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সামরিক শাসক এরশাদ এবং জিয়াউর রহমানের সময়ে বাংলাদেশকে ইসলামিক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

এদিকে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় মন্দির ও বাড়িঘরে সাম্প্রদায়িক হামলার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান, বাহাত্তরের সংবিধান অনুযায়ী ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাসহ ছয় দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। রোববার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এসব দাবি জানান মঞ্চের নেতারা। মানববন্ধন শেষে ঢাবি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে শাহবাগ পর্যন্ত সম্প্রীতি মিছিল কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি। 

রাষ্ট্রসংঘে ইসকন
এদিকে বাংলাদেশে হিন্দুদের বিরুদ্ধে হিংসার ঘটনায় রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছে ইসকন কর্তৃপক্ষ। হিংসা-কবলিত জায়গায় প্রতিনিধিদল পাঠানোর আর্জি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপের দাবি করেছে ইসকন কর্তৃপক্ষ। রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্টনিও গুটারেসকে লেখা চিঠিতে কলকাতার ইসকনের তরফে বলা হয়েছে, ‘হিন্দু-সহ বাংলাদেশের অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর যে লাগাতার হিংসা চলছে, অবিলম্বে সেই ঘটনার নিন্দা করার জন্য রাষ্ট্রসংঘকে আর্জি জানাচ্ছি আমরা। বাংলাদেশে প্রতিনিধিদল পাঠানোর আর্জি জানাচ্ছি।' সেইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনেও ফোন করা হয়। 

ইসকন কর্তৃপক্ষের দাবি, দশমীতে দুপুর দুটো নাগাদ বাংলাদেশের নোয়াখালিতে ইসকন মন্দিরের কাছে দুর্গাপুজোর মণ্ডপে ভাঙচুর চালানো হয়। তারপর হামলা চালানো হয় ইসকনের ভক্তদের উপর। ইসকনের প্রতিষ্ঠাতার বইয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।জানা গিয়েছে খুব দ্রুতই ইসকনের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। সেই সঙ্গে  চলতি মাসেই ইসকনের আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ যাবেন বলেও শোনা যাচ্ছে। 

 

Advertisement