Bangladesh Chittagong Container Depot Explosion: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের (Sitakunda) বিএম কন্টেইনার ডিপোতে লাগা আগুনে (fire) উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়ে এখনও পর্যন্ত ৫ জন ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ প্রাণ হারিয়েছেন ৩৩ জন। ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মইনউদ্দিন নিহত ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং অন্যান্য মাধ্যম থেকে বাকিদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। আহত পুলিশ সদস্য, ফায়ার সার্ভিসকর্মী এবং সাধারণ মানুষকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম সিএমএইচ এবং স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
কন্টেইনারগুলো কেমিক্যালে পূর্ণ থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে সময় লাগছে। আর এ কারণেই আগুন ছড়িয়ে পড়ছে দ্রুত। গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে কন্টেইনার ডিপোটিতে আগুন লাগে। ডিপোটিতে প্রায় পঞ্চাশ হাজার কন্টেইনার ছিল। রাত বাড়ার সাথে সাথে এ আগুনের ঘটনার ভয়াবহতা বাড়ে। তবে এখন আগুনের মাত্রা কমে আসলেও তা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
ফায়ার ব্রিগেডের মহাপরিচালক সাংবাদিকদের জানান, এতবড় অগ্নিকাণ্ড হলেও মালিকপক্ষের কারও উপস্থিতি ছিল না। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ না থাকা একপ্রকার জটিলতা তৈরি করছে বলেও জানান তিনি। এদিকে, এ ঘটনার কারণে চট্টগ্রামের সকল চিকিৎসকের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আর সকল চিকিৎসককে হাসপাতালে যোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছে চট্টগ্রামের জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়। পাশাপাশি স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালেও দগ্ধদের চিকিৎসা পরিষেবা দিতে বলেছে সিভিল সার্জনের কার্যালয়।
কনটেইনার ডিপোটিতে এখনও কিছুক্ষণ পরপর বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। সে দেশের পুলিশ ও দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে শনিবার রাত নটার দিকে সীতাকুণ্ডের বিএন কন্টেইনার ডিপো লোডিং পয়েন্টের ভিতর আগুন লাগে এরপরই দমকলে খবর দেওয়া হয় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চললেও সারা রাতে সেই আগুন নেভেনি। রাত ১১ টা নাগাদ আরও একটি করে আগুন ছড়িয়ে পড়ে কন্টেইনারে রাসায়নিক পদার্থ থাকায় বিস্ফোরণ ঘটে তাতে হতাহত হন বহু মানুষ প্রচন্ড শব্দে বিস্ফারণ এর আওয়াজ পৌঁছে স্থানীয়দের কানেও প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে বলে জানা গিয়েছে। কাছাকাছি থাকা বাড়ির জানালার কাচগুলো ঝনঝন করে ভেঙে পড়ে যায়। রবিবার সকালে আগুন নেভানোর কাজ জারি রয়েছে। সম্পূর্ণ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি বলে জানা গিয়েছে।
কন্টেইনার ডিপোর সরকারি বিবৃতিতে জানা গিয়েছে যে ৩০ একর এর এই প্রাইভেট ডিপোতে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড সহ বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ থাকে। এই সংস্থার তরফে অবশ্য আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি বলে জানানো হয়েছে। এই ডিপোতে প্রায় ৬০০ জন কাজ করেন বলে জানা গিয়েছে।