Kalna Bridge: পদ্মার পর কালনা সেতুর উদ্বোধন হাসিনার, আরও সহজ ঢাকা-কলকাতা সফর

পদ্মা সেতু কলকাতা ও ঢাকার মধ্যে দূরত্ব কমিয়েছিল ১৫০ কিলোমিটার। সোমবার সেই দূরত্ব আরও কমিয়ে দিল কালনা সেতু। বাংলাদেশের প্রথম ৬ লেনের কালনা সেতুর উদ্বোধন করলেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি সেতুটির উদ্বোধন করলেন। এরপর আজ রাত ১২টা থেকে সেতুতে গাড়ি চলাচল শুরু হচ্ছে।

Advertisement
পদ্মার পর কালনা সেতুর উদ্বোধন হাসিনার, আরও সহজ ঢাকা-কলকাতা সফরআজ রাত ১২টা থেকে সেতুতে গাড়ি চলাচল শুরু হচ্ছে
হাইলাইটস
  • পদ্মা সেতু কলকাতা ও ঢাকার মধ্যে দূরত্ব কমিয়েছিল ১৫০ কিলোমিটার
  • সেই দূরত্ব আরও কমিয়ে দিল কালনা সেতু

পদ্মা সেতু কলকাতা ও ঢাকার মধ্যে দূরত্ব কমিয়েছিল ১৫০ কিলোমিটার। সোমবার সেই দূরত্ব আরও কমিয়ে দিল কালনা সেতু। বাংলাদেশের প্রথম ৬ লেনের কালনা সেতুর উদ্বোধন করলেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি সেতুটির উদ্বোধন করলেন। এরপর আজ রাত ১২টা থেকে সেতুতে গাড়ি চলাচল শুরু হচ্ছে।

 ব্রিজটির নাম ‘মধুমতী সেতু’ রাখা হলেও সবার কাছে এটি পরিচিত কালনা সেতু নামেই। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কালনা ঘাটে মধুমতী নদীতে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে।  সেতু উদ্বোধনের খবরে আনন্দে ভাসছে নড়াইলসহ আশপাশের জেলার মানুষ। সেতুর দুই তীরে সৃষ্টি হয়েছে উৎসবের আমেজ। নড়াইলসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ করতে ২০০৮ সালে নড়াইলের সুলতান মঞ্চে নির্বাচনী জনসভায় কালনা ঘাটে এ সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি তিনি ‘কালনা সেতু’ নামে এ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরে কালনা সেতুর নাম পরিবর্তন করে নদীর নামে ‘মধুমতি সেতু’ নামকরণ করেন হাসিনা।

 

 

কালনা সেতুর ফলে কী সুবিধা
জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে ৯৬০ কোটি টাকা (বাংলাদেশি মূদ্রা) ব্যয়ে মধুমতী নদীর ওপর ৬৯০ মিটার দীর্ঘ মধুমতী সেতু নির্মিত হয়েছে, যা স্থানীয়ভাবে কালনা সেতু নামে পরিচিত। এটি নড়াইল, গোপালগঞ্জ, খুলনা, মাগুরা, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর ও ঝিনাইদহ জেলাকে সংযুক্ত করেছে। প্রকল্প কর্তাদের মতে, সেতুটি চালু হওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ দ্রুত সড়ক যোগাযোগের সুবিধা পাবেন। কারণ, সেতুটি কালনাঘাট থেকে রাজধানী ঢাকা পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্ব কমিয়ে দেবে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্তত ১০টি জেলার মানুষ কম সময়ে বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করতে পারবেন। এটি দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল ও যশোর থেকে ঢাকা পর্যন্ত ভ্রমণের সময়ও কমিয়ে দেবে। কারণ, এতে ঢাকা থেকে দূরত্ব কমে হবে মাত্র ১৩০ কিলোমিটার।

আরও কাছাকাছি ঢাকা-কলকাতা
মধুমতী  নদীটি বাংলাদেশের নড়াইল এবং ফরিদপুর জেলার মাঝখান দিয়ে বয়ে চলেছে। একবার এই সেতু চালু হয়ে গেলে কলকাতা এবং ঢাকার দূরত্ব আরও কমে যাবে। প্রায় ২০০ কিলোমিটার কমবে এই দুই জায়গার দূরত্ব। ফলে কালনা ব্রিজ দুই বাংলাকে আরও কাছাকাছি এনে দিতে চলেছে যে সেটা বলাই যায়। প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে পদ্মা সেতু  নির্মাণের পর কালনা সেতুর উদ্বোধন পরিবহণ বিপ্লব এনেছে বাংলাদেশে। কালনা সেতুকে পদ্মাসেতুর ‘সিস্টার ব্রিজ’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। পদ্মা সেতু শুধু বাংলাদেশের জেলাগুলিকে ঢাকার কাছাকাছি এনেছে তা নয়, কলকাতার সঙ্গে ১৫০ কিলোমিটারে দূরত্বের পাশাপাশি সময় কমিয়েছে অন্তত ছ’ ঘণ্টা। আগে বাস, প্রাইভেট গাড়ি বা যে কোনও যানবাহন নিয়ে পদ্মা অতিক্রম করার জন্য  ৬ ঘণ্টা ব্যয় হত। এখন সাড়ে ছ’ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু পেরোতে সময় লাগে মাত্র ছ’ মিনিট। পদ্মা সেতু থেকে ২০ কিলোমিটার দূরেই কালনা সেতু। নেলসন লোস আর্চ টাইপের এই সেতুটি দৈর্ঘ্যয় ৬৯০ মিটার এবং প্রস্থ হল ২৭.১ মিটার। কালনা সেতু চালু হয়ে গেল সেটা নড়াইলের লোহাগড়া ইপিজেড চালু এবং ব্যবসা সম্প্রসারণে ভীষণই সাহায্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ভারতের অসম এবং কলকাতার সঙ্গে দারুন যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন  বাংলাদেশের একাধিক অংশের।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement