scorecardresearch
 

Bangladesh: হঠাত্‍ ভারতের রাষ্ট্রদূতের বাড়তি নিরাপত্তা তুলে নিল বাংলাদেশ

শেখ হাসিনা সরকারের দাবি, বাংলাদেশের করদাতাদের টাকায় এই নিরপাত্তার খরচ মেটানো 'বৈষম্যমূলক'। এই বাড়তি নিরাপত্তার এখন প্রয়োজন নেই, কেননা বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এই মুহূর্তে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

Advertisement
বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী

হঠাত্‍ ভারতের রাষ্ট্রদূতের অতিরিক্ত নিরাপত্তা তুলে নিল বাংলাদেশ (Bangladesh)। শেখ হাসিনা সরকারের দাবি, বাংলাদেশের করদাতাদের টাকায় এই নিরপাত্তার খরচ মেটানো 'বৈষম্যমূলক'। এই বাড়তি নিরাপত্তার এখন প্রয়োজন নেই, কেননা বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এই মুহূর্তে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

শুধু ভারত নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, সৌদি আরব সহ অন্তত ছ'টি দেশের রাষ্ট্রদূতরা বাংলাদেশে আর বাড়তি নিরাপত্তার সুবিধা পাবেন না। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমিনের কথায়, 'ঢাকায় কোনও বিদেশি কূটনীতিককে অতিরিক্ত নিরাপত্তা সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে সরকার বৈষম্য করতে চায় না, তবে অর্থের বিনিময়ে তারা এ ধরনের সুবিধা পেতে পারেন। আমরা করদাতাদের অর্থ দিয়ে আর এই বাড়তি এসকর্ট (নিরাপত্তা) সার্ভিস দেব না।'

আরও পড়ুন: আদানিদের থেকে বিদ্যুত্‍ কিনবে না বাংলাদেশ? ঢাকাকে জবাব দিল কেন্দ্র

এতদিন বাংলাদেশে ভারতের রাষ্ট্রদূত কোনও শহরে সফর করলে প্রটোকলের নিরাপত্তা ছাড়াও বাংলাদেশ সরকার একটি স্পেশাল পুলিশ ফোর্স সঙ্গে দিত। এবার আর তা মিলবে না। বস্তুত, ২০১৬ সালে ঢাকায় একটি নামী রেস্তোরাঁ হোলি আর্টেজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা হয়। ২০ জনের মৃত্যু হয় সেই হামলায়। মৃতেদর মধ্যে বেশির ভাগই ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের নাগরিক। মোট ১৭ জন বিদেশি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছিল। ওই ঘটনার পরেই ভারত সহ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতদের বাড়তি স্পেশাল সিকিউরিটি দেওয়া শুরু করে বাংলাদেশ সরকার। 

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এক কর্তা জানান, কিছু দেশের রাষ্ট্রদূতকে বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছিল। এবার তা তুলে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু প্রটোকল অনুযায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় থাকবে। মোমিন বলেন, 'অন্য কোনও দেশ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের জন্য এরকম বাড়তি নিরাপত্তা দেয় না।'

ওয়াশিংটনে স্টেট ডিপার্টমেন্টের অন্যতম মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেলের কথায়, 'ভিয়েনা কনভেনশন অনুসারে যে কোনও দেশ সব কূটনৈতিক মিশন এবং তাঁদের কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বাধ্য থাকবে এবং কর্মীদের উপর যে কোনও আক্রমণ প্রতিরোধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। আমাদের কূটনৈতিক কর্মীদের নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।'

Advertisement

Advertisement