India-Bangladesh Border Visa problem At Fulbari:ফুলবাড়ি সীমান্ত চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে আসার জন্য আপাতত ভিসা পাচ্ছেন না বাংলাদেশিরা। ফলে শুধু উত্তরবঙ্গের এই জোন নয়, বরং নেপাল ও ভুটানে যেতেও খরচ বাড়ছে বাংলাদেশি পর্যটকদের। পাশাপাশি শিলিগুড়িকে কেন্দ্র করে পর্যটন ব্যবসায়ীরাও প্রচুর বিদেশি পর্যটক হারাচ্ছেন। যার ফলে উত্তরবঙ্গের ব্যবসা ও পর্যটনের ক্ষতি হচ্ছে। অভিযোগ এদেশের পর্যটন ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলির। বিষয়টি নিয়ে অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজারভেশন অব টুরিজমের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন বর্ডারের মাধ্যমেই ভিসা দেওয়ার আবেদন জানানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
শিলিগুড়ির কাছে ফুলবাড়ি-বাংলাবান্ধা বর্ডার দিয়ে ভারতে প্রবেশের ছাড়পত্র মেলার পর থেকে এই রিজিয়নে বাংলাদেশি পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছিল। এদেশের দার্জিলিং-সিকিম এবং ভারতের সঙ্গে সীমান্ত থাকা হাতের কাছে দুটি বিদেশ ভুটান ও নেপালের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য বাংলাদেশিদের কাছে ফুলবাড়ি সীমান্ত জনপ্রিয় ও সুবিধাজনক। এই সীমান্ত দিয়ে যাতায়াতের ভিসা বন্ধ রয়েছে কোভিডের সময় বন্ধ হওয়ার পর থেকেই। কোভিড বিধি উঠে গেলেও এই সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া শুরু হয়নি। কবে হবে কেউ জানে না। যদিও ভারতীয়রা কিন্তু চাইলেই এই চেকপোস্ট ব্যবহার করে বাংলাদেশে যাতায়াত করতে পারছেন। অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজারভেশন অব টুরিজমের তরফে রাজ বসু বলেন, "আমরা চাইছি, ভিসা দেওয়া শুরু হোক। পাশাপাশি মিতালি এক্সপ্রেসের সংখ্যাও বাড়ানো হোক।
কেন ভিসা দেওয়া বন্ধ, তা নিয়ে পরিষ্কার কোনও তথ্য নেই। তবে সরকারের তরফ থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের তিনটি সীমান্তকে দুদিকেই খোলা রাখা বা ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ত্রিপুরা, পেট্রাপোল ও চ্যাংরাবান্ধা। তবে এর পিছনে কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতি মাথায় থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ফুলবাড়ির অন্যদিকে বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার চেম্বার অফ কমার্সের সহ সভাপতি মেহেদি হাসান খান বাবলা একটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ফুলবাড়ি দিয়ে যাতায়াতের ভিসা না পাওয়ায় বৃহত্তর দিনাজপুর, রংপুর, পঞ্চগড় সহ বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকার সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী, ছাত্রছাত্রী, রোগীদের অনেকটা ঘুরপথে চ্যাংরাবান্ধা দিয়ে আসতে হচ্ছে। প্রায় দুশো কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ ভাঙতে হচ্ছে। অর্থ, সময় দুই-ই বেশি লাগছে। তাঁরা কূটনৈতিক স্তরে ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা মেটানোর জন্য দাবি জানিয়েছেন বলে জানান।