scorecardresearch
 

Bangladesh Durga Puja: ঢাকেশ্বরী থেকে রমনা-শাঁখারিবাজার... দুর্গাপুজোয় বাংলাদেশও কম যায় না

গোটা বাংলাদেশে এবার পুজো হচ্ছে ৩২ হাজার ১৬৮টি। গত বছরের চেয়ে সংখ্যাটা বেড়েছে এক হাজারের বেশি। এপার বাংলার মত বাংলাদেশের বাঙালিদের মধ্যেও পুজো নিয়ে রয়েছে উন্মাদনা। প্রতি বছর বাংলাদেশে সবথেকে বেশি পুজো হয় চট্টোগ্রামে৷ শুধু দুর্গা প্রতিমাই নয়, প্যান্ডেল বা আলোকসজ্জাতেও তাক লাগিয়ে দেয় কিছু প্রাচীন বাংলাদেশের পুজো৷

Advertisement
হাইলাইটস
  • এপার বাংলার মত বাংলাদেশের বাঙালিদের মধ্যেও পুজো নিয়ে রয়েছে উন্মাদনা
  • প্রতি বছর বাংলাদেশে সবথেকে বেশি পুজো হয় চট্টোগ্রামে
  • ঢাকায় সর্বজনীন পুজোর সংখ্যা এবার ২৪১টি

গোটা বাংলাদেশে এবার পুজো হচ্ছে ৩২ হাজার ১৬৮টি। গত বছরের চেয়ে সংখ্যাটা বেড়েছে এক হাজারের বেশি। এপার বাংলার মত বাংলাদেশের বাঙালিদের মধ্যেও পুজো নিয়ে রয়েছে উন্মাদনা।  প্রতি বছর বাংলাদেশে সবথেকে বেশি পুজো হয় চট্টোগ্রামে৷ শুধু দুর্গা প্রতিমাই নয়, প্যান্ডেল বা আলোকসজ্জাতেও তাক লাগিয়ে দেয় কিছু প্রাচীন বাংলাদেশের পুজো৷ 

 

 

এপার বাংলার মতোই বাংলাদেশেও দুর্গাপুজোর পাঁচদিন ধরে থাকে উৎসবের আমেজ। রাজধানী ঢাকা-সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে একাধিক ঐতিহ্যশালী দুর্গাপুজো। এরমধ্যে সবচেয়ে ঐতিহ্যশালী পুজো হল ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দিরের পুজো। এছাড়াও বাংলাদেশের ঢাকা শহরে একাধিক পুজোর রয়েছে ঐতিহ্য। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই পুজোগুলির ইতিহাস ও ঐতিহ্য।

ঢাকেশ্বরী মন্দিরের দুর্গা পুজো
বাংলাদেশের প্রাচীনতম মন্দিরগুলোর মধ্যে অন্যতম ঢাকেশ্বরী মন্দির। প্রচলিত লোককথা, এক সময় রাজা বল্লাল সেন বুড়িগঙ্গার নদীর ধারে জঙ্গলে একটি দূর্গা মূর্তি খুঁজে পান। তার পরই তিনি মূর্তি স্থাপন করে পুজোর প্রচলন করেন। সেই থেকে এই মন্দির ঢাকেশ্বরী মন্দির নামে পরিচিত। এক সময় এই মন্দির জঙ্গল পরিবেষ্টিত ছিল। অনেকে বলেন, এই মন্দিরের নাম অনুসারে ঢাকা শহরের নামকরণ হয়েছে। মুঘল সম্রাট আকবরের সেনাপতি মান সিং এখানে চারটি শিবমন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। পুজোর সময় এই মন্দিরে দর্শকদের ঢল নামে। 

শাখারি বাজারের দুর্গাপুজো
 ঢাকার দুর্গাপুজোর কথা উঠলে উল্লেখ করতেই হবে  রাজধানীর পুজোর অন্যতম  আকর্ষণ শাখারি বাজারের দুর্গাপুজো। এই বাজারে শাখা, পলা সহ বিভিন্ন জিনিসপত্রের দোকান রয়েছে। চমক হল, এই শাখারি বাজারে এখন মোট ৯টি পুজো হয়। আর প্রতিটি পুজো কম করে ৪০-৫০ বছরের বেশি পুরনো। দর্শকদের ভিড়ও থাকে চোখে পড়ার মতো।

Advertisement

ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনের পুজো
স্বাধীনতার অনেক আগেই  ১৮৯৯ সালে ঢাকা শহরে  প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল রামকৃষ্ণ মিশনের আশ্রম। এই পুজোর অন্যতম মূল আকর্ষণ বেলুড়ের মত কুমারী পুজো। অষ্টমীতে কুমারী পুজা দেখার জন্য গোটা বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আসেন এখানে। সমস্ত ঐতিহ্য মেনে সম্পন্ন হয় পুজো।

 রমনা কালী মন্দিরের পুজো
১৯৭১ সালে পাক হানাদারদের শিকার হয়েছিল এই মন্দির। রমনা কালী মন্দিরটি ধ্বংস করে দেওয়া হয়। তার পর এখানে স্থায়ী কোনও মন্দির স্থাপন হয়নি। ১৯২১ সালে নতুন করে ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের হাত ধরে ফের উদ্বোধন হয় রমনা কালী মন্দিরের। তবে প্রতিবার মন্দির চত্বরে পুজো হয় প্যান্ডেল করে। রমনা কালী মন্দির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছাকাছি অবস্থিত। তাই এখানে ছাত্র-ছাত্রীদের ভিড় থাকে প্রচুর।

 

বাংলাদেশের সাধারণত থিম পুজো হয় না। তবে পুজোর উন্মাদনায় কোনও কমতি থাকে না ওপার বাংলার হিন্দুদের মধ্যে। ঢাকায় সর্বজনীন পুজোর সংখ্যা এবার ২৪১টি। পাঁচ দিন ধরে দুর্গাপুজোর আমেজে মেতে ওঠেন পদ্মাপারের বাঙালিরা। প্রকৃত অর্থে দুর্গাপুজো এখন শুধু হিন্দুদের উৎসব নয়, এটি এখন সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। 
 

Advertisement