Hero Alom: বিপাকে বাংলাদেশি তারকা হিরো আলম। থানায় প্রায় ৮ ঘণ্টায় পুলিশি জেরার মুখে পড়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, আলমকে আর কখনও ক্লাসিক্যাল গান না গাইতে বলেছে পুলিশ। গায়ক হিসাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি। প্রায় ২০ লাখ মানুষ তাঁকে ফেসবুকে ফলো করেন। তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে ১৪ লাখেরও বেশি সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। নিজেকে একজন গায়ক, অভিনেতা এবং মডেল হিসেবে বর্ণনা করা আলমের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়। তবে এখন তিনি শিরোনামে এসেছেন গানের জন্য। আর এই গান গাওয়ার জন্য এখন প্রবল বিপাকে পড়েছেন।
অনেকেই অভিযোগ করে যে হিরো আলম খুব অসঙ্গতভাবে গান গাইছেন। এমনকী গানের বিকৃতি করছেন বলেও অভিযোগ সামনে আসে। হিরো আলম জানান, গত সপ্তাহে পুলিশ তাঁকে মানসিকভাবে নির্যাতন করেছে। পুলিশ তাঁকে ক্লাসিক্যাল গান গাওয়া বন্ধ করতে বলে। পুলিশ আরও বলেছে, গায়িক হিসেবে তিনি খুবই বাজে গান গেয়ে থাকেন। শেষ পর্যন্ত, আলমকে ক্ষমা চেয়ে সই করতে হয়েছে। হিরো আলম বলেন,'পুলিশ সকাল ৬টায় আমাকে তুলে নিয়ে ৮ ঘণ্টা ধরে রাখে। তাঁরা আমাকে জিজ্ঞেস করেন আমি কেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের গান গাই?
এ ঘটনায় ঢাকার মুখ্য গোয়েন্দা কর্তা হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, আলমের বিরুদ্ধে আমাদের কাছে অনেক অভিযোগ এসেছে। পুলিশের ইউনিফর্ম পরা এবং ভিডিওতে অনুমতি ছাড়া ঠাকুর ও নজরুলের গান গাওয়ার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন আলম। হারুন বলেন- 'আলম ঐতিহ্যবাহী গানের স্টাইল পুরোপুরি পাল্টে দিয়েছেন। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে এটির পুনরাবৃত্তি করবেন না আর।'
নেটিজেনরা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন
একই সঙ্গে আলমের সঙ্গে এই আচরণে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভের সৃষ্টি করে। অনেক ব্যবহারকারীকে দেখা গেছে আলমের সমর্থনে দাঁড়াতে। আলমের গাওয়া খারাপ হলেও মানুষ একে ব্যক্তি অধিকারের ওপর আক্রমণ বলেছে। স্থানীয় সাংবাদিক আদিত্য আরাফাত লিখেছেন, 'আমি আলমের গান বা অভিনয়ের ভক্ত নই। তবে যদি তাঁর কণ্ঠকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, আমি তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়াবো। সানজিদা খাতুন রাখি লিখেছেন, ভাঙবেন না। তুমি হিরো। অন্যরা যাই বলুক না কেন, আপনিই আসল নায়ক। তবে গানের বিকৃতির অভিযোগ তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার শিকারও হয়েছেন হিরো আলম।