scorecardresearch
 

বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে গ্রেফতার হয়েছিলেন, ঢাকায় গিয়ে ফাঁস করলেন মোদী

'বাংলাদেশের স্বাধীনতার সমর্থন করায় আমি গ্রেফতার হয়েছিলাম এবং কারাগারেও গিয়েছিলাম।' ঢাকায় গিয়ে পুরনো স্মৃতি রোমন্থন প্রধাানমন্ত্রীর।

Advertisement
বাংলাদেশে মোদী বাংলাদেশে মোদী
হাইলাইটস
  • বাংলাদেশে স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় তাঁর বয়স ছিল ২০-২২ বছর
  • সেই সময় সত্যাগ্রহ করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী
  • ঢাকায় এমনই অনেক অজানা কথা শোনা গেল মোদীর মুখে

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবে যোগ দিতে দুই দিনের সফরে শুক্রবারই  ঢাকা গিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ঢাকা পৌঁছানোর পর নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলায় ট্যুইচও করেন তিনি। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরালো করার আশা ব্যক্ত করেন তিনি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণেই  ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দুই দিনের এই ঢাকা সফর। শুক্রবার ঢাকা পৌঁছানোর পর সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও বঙ্গবন্ধু যাদুঘরে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন তিনি।

বাংলাদেশে গিয়ে ইন্দিরার প্রশংসা, মোদীর মুখে 'জয় বাংলা'

 বিকালে ঢাকার জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বক্তব্য রাখেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। এদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে গান্ধী শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করেন তিনি।  মোদী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে গান্ধী শান্তি সম্মান দিতে পেরে আমরা গর্বিত। মুক্তিযুদ্ধের শহিদ এবং ভারতীয় সেনাদের শ্রদ্ধা জানাই।' ঢাকায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে ইন্দিয়া গান্ধীর অবদানের কথাও স্মরণ করেন মোদী। তবে সবচেয়ে বড় চমটা নিজেকে নিয়েই দিয়েছেন মোদী। বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমার বয়স তখন ২০-২২ বছর ছিল, যখন আমি ও আমার অনেক সহকর্মী বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতার জন্য সত্যাগ্রহ করেছিলাম। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সমর্থন করায় আমি গ্রেফতার হয়েছিলাম এবং কারাগারেও গিয়েছিলাম।" মোদী বলেন  বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যতটা আকুলতা এখানে ছিল ততটা আকুলতা সেখানেও ছিল। এখানে পাকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত জঘন্য অপরাধ ও নৃশংসতার চিত্রগুলি আমাদের বিচলিত করত  এবং রাতের পর রাত বিনিদ্র করে রাখত। 

'সোনার বাংলার' সোনালি ৫০, ফিরে দেখা মুক্তিযুদ্ধের সেই ইতিহাস

একাত্তরের যুদ্ধে শহিদ হওয়া ভারতীয় বীরদের স্মরণ করতেও দেখা যায় মোদীকে। মোদী বলেন, ফিল্ড মার্শাল স্যাম মানেকশ’, জেনারেল অরোরা, জেনারেল জ্যাকব, ল্যান্স নায়ক অ্যালবার্ট এক্কা, গ্রুপ ক্যাপ্টেন চন্দন সিং, ক্যাপ্টেন মোহন নারায়ণ রাও সামন্ত সহ এমন অনেক বীর রয়েছেন যাঁদের নেতৃত্ব ও সাহসের কাহিনী আমাদের অনুপ্রেরণা জোগায়। বাংলাদেশ সরকার এই বীরদের স্মরণে আশুগঞ্জে একটি স্মৃতিসৌধ তৈরি করেছে। সেজন্য হাসিনা সরকারকে ধন্যবাদও জানান মোদী।

Advertisement

বিদেশি শীর্ষ নেতাদের সাধারণত ঢাকার বাইরে যাওয়ার প্রচলন না থাকলেও মোদী অবশ্য এবারের  সফরে সাতক্ষীরা ও গোপালগঞ্জে। এর পাশাপাশি দুই প্রধানমন্ত্রী ২৭ মার্চ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। ২৭ মার্চ সাতক্ষীরায় যশোরেশ্বরী কালী মন্দির পরিদর্শন করবেন নরেন্দ্র মোদী। এরপর টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু স্মৃতিসমাধি পরিদর্শন করবেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা মোদীকে অভ্যর্থনা জানাবেন। নরেন্দ্র মোদী শনিবার মতুয়া সম্প্রদায়ের তীর্থস্থান ওরাকান্দি পরিদর্শন করবেন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলবেন। এদিকে শনিবারই শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে ভোটপর্ব। বাংলায় ভোট আবহে মোদী বাংলাদেশে মতুয়াদের কী বার্তা দেন সেদিকেই এখন দৃষ্টি সকলের।

 

Advertisement