পিস্তল হাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি, সাংসদের কীর্তিতে তোলপাড় বাংলাদেশে

সাংসদ রেজাউল করিম বাবলুর আগ্নেয়াস্ত্র সহ ছবিটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হতেই অনেকেই তা নিয়ে বিরুপ মন্তব্য শুরু করেন।

Advertisement
পিস্তল হাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি, সাংসদের কীর্তিতে তোলপাড় বাংলাদেশেপিস্তল হাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি
হাইলাইটস
  • পিস্তল হাতে ফেসবুকে ছবি
  • সাংসদের ছবি ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়
  • ওই পোস্ট ঘিরে সমালোচনার ঝড় উঠেছে

আত্মরক্ষার জন্য অনেকেই লাইসেন্স-সহ আগ্নেয়াস্ত্র কিনে থাকেন। কিন্তু বাংলাদেশের এক সাংসদ ঘটিয়ে ফেললেন অবাক কাণ্ড। পিস্তল কিনে আগ্নেয়াস্ত্র সহ নিজের ছবি তিনি পোস্ট করে দিলেন সোজা ফেসবুকে। ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয় নেটিজেনদের মধ্যে।

জানা গিয়েছে বগুড়া-৭ আসনের ওই সংসদ সদস্যের নাম রেজাউল করিম বাবলু ওরফে শওকত আলী গোলবাগী। বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে তিনি অস্ত্রসহ ছবি পোস্ট করেন। ওই ছবি নিয়ে সমালোচনা শুরু হতেই অবশ্য বাবলু তা সরিয়ে নেন। যদিও ওই সময়ের মধ্যেই অনেকেই তা ডাউনলোড করে রাখেন। ফেসবুকের মত সামাজিক প্ল্যাটফর্মে একজন আইন প্রণেতা হয়ে এভাবে আগ্নেয়াস্ত্র সহ ছবি পোস্ট আইনের চোখে অপরাধ বলেই বিভিন্ন মহল থেকে দাবি ওঠে।  ছবিটি ভাইরাল হওয়ায় জেলার সর্বত্র তাকে নিয়ে শুরু হয়  আলোচনা-সমালোচনা।

সাংসদ রেজাউল করিম বাবলুর আগ্নেয়াস্ত্র সহ ছবিটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হতেই অনেকেই তা নিয়ে বিরুপ মন্তব্য শুরু করেন। বাংলাদেশের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান আইনের অনুচ্ছেদ ২৫ এর (ক) তে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি তার লাইসেন্স করা অস্ত্র আত্মরক্ষার জন্য বহন বা ব্যবহার করতে পারবেন। তবে, তা অন্যের ভীতি বা বিরক্তির কারণ হতে পারে, এমনভাবে প্রদর্শন করতে পারবেন না। এই নির্দেশ অমান্যকারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকেও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। যদিও ফেসবুকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কোনও ছবি তিনি পোস্ট করেননি বলে দাবি করেছেন সংসদ রেজাউল করিম বাবলু ওরফে গুলবাগি। 

২০১৮ সালে বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ  নির্বাচনে বগুড়া-৭ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন রেজাউল করিম বাবলু। সেই সময়  এই আসনে বিএনপির সমর্থনে জয়ী হয়েছিলেন বাবলু। নির্বাচনে তিনি ১ লাখ ২৯৯ টি ভোট পেয়ে বগুড়া শাজাহানপুর এবং গাবতলী উপজেলার (বগুড়া-৭) আসনের সংসদ নির্বাচিত হন। সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার কিছুদিন পর থেকেই তাঁর নামে বিভিন্ন অনিয়মের খবর প্রকাশ হতে থাকে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement