ভারতের প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দিল্লি এসেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জি-২০ সদস্য না হওয়া সত্বেও একমাত্র প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ভারত। বাংলাদেশকে বারবরই নিজের বন্ধু তকমা দিয়ে এসেছে ভারত। ভারত এবং বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রতিদিনই আরও মজবুত হচ্ছে। রোজ বাসে হোক বা ট্রেনে অথবা বিমানে দুই দেশের মধ্যে হাজার হাজার যাত্রী যাতায়াত করে থাকেন। বাণিজ্যিক প্রয়োজন ছাড়াও অন্যান্য বিভিন্ন কারণ যেমন চিকিৎসা, পড়াশুনা ইত্যাদির জন্য দুই দেশের বহু নাগরিককেও যাতায়াত করতে হয়। আর তাদের জন্য রয়েছএ সুখবর। এবার ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চতুর্থ ট্রেন চলতে পারে বলেই শোনা যাচ্ছে।
বর্তমানে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে তিনটি ট্রেন মৈত্রী, বন্ধন এবং মিতালী এক্সপ্রেস চলাচল করে। এরমধ্যে কলকাতা-ঢাকা মধ্যে মৈত্রী এক্সপ্রস ও কলকাতা ও খুলনার মধ্যে বন্ধন এক্সপ্রেস রয়েছে। এছাড়া নিউ জলপাইগুড়ি ও ঢাকার মধ্যে রয়েছে মিতালি এক্সপ্রেস। তবে দিন দিন যাত্রীসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আরও ট্রেনের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছে দুই দেশ। এছাড়াও ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও নিবিড় করার জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থায় আরও উন্নতি আনা প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের তরফ থেকেই ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, ঢাকা থেকে কলকাতার মধ্যে চতুর্থ আন্তদেশীয় ট্রেন পরিচালনার প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। এই নিয়ে বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী মহম্মদ নুরুল ইসলাম সুজনের সঙ্গে দেখা করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের রেল মন্ত্রকের সচিব ড. মহম্মদ হুমায়ুন কবীর সহ বাংলাদেশ রেল মন্ত্রকের শীর্ষ কর্তারা।
চতুর্থ যে ট্রেনটি চালানোর কথা হচ্ছে সেটি যাতে ঢাকা এবং কলকাতার মধ্যে যাতায়াত করতে পারে। এই নিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে বাংলাদেশের রেল মন্ত্রী এবং অন্যান্য মন্ত্রীদের বৈঠকও হয়েছে। পাশাপাশি ভারতের তরফ থেকে বাংলাদেশকে ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত যাতায়াতের জন্য উন্নতমানের টুরিস্ট কোচ রফতানি করতে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও এই সকল প্রস্তাব এবং আলাপ আলোচনা হলেও চতুর্থ ট্রেনটি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। তবে যেভাবে আগ্রহ দেখানো হচ্ছে দুই দেশের তরফ থেকে তাতে খুব তাড়াতাড়ি দুই দেশের নাগরিকরা চতুর্থ একটি ট্রেন পেতে চলেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।