'শুধুমাত্র গণপতির অনুমতি চাই মুম্বইয়ে থাকতে!' সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে পৌঁছে মন্তব্য কঙ্গনার

বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত মঙ্গলবার সপরিবারে মুম্বইয়ের সিদ্ধিভিনায়ক মন্দিরে গিয়েছেন। গণপতি দর্শনের জন্যে কঙ্গনা সেজেছেন একেবারে মারাঠি বেশে। তাঁর শেয়ার করা ছবিগুলি এই মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। (ছবি সৌজন্য: ফেসবুক)

সবুজ রঙা পৈঠানী শাড়ির সঙ্গে পরেছেন কনট্রাস্ট লাল ব্লাউজ। যদিও আধুনিক স্টাইলেই মারাঠি ঐতিহ্যবাহী শাড়িটি পরেছেন অভিনেত্রী। মহারাষ্ট্রের অওরঙ্গবাদের একটি বিশেষ পরিচয় এই শাড়ি। (ছবি সৌজন্য: ফেসবুক)

এর সঙ্গে কঙ্গনাকে তার চুলে গজরা ও নাকে মারাঠি নথও পরেছেন তিনি। মন্দিরে প্রায় কঙ্গনা এখানে ৩০ মিনিট অবস্থান করেন। মন্দিরের ম্যানেজার হেমন্ত যাদব জানান, কঙ্গনা মন্দিরে সকাল ১০ নাগাদ পৌঁছেছিলেন এবং  তাঁর দেহরক্ষীরা ততক্ষণ বাইরে অপেক্ষা করছিলেন। (ছবি সৌজন্য: ফেসবুক)

মন্দিরে ঢুকে কঙ্গনা 'গণপতি বাপ্পা মৌরিয়া' এবং 'জয় মহারাষ্ট্র' ধ্বনি দেন। এগুলি ছাড়াও তিনি বলেন, "এখানে (মুম্বাই) থাকার জন্যে আমার শুধুমাত্র গণপতির অনুমতি প্রয়োজন এবং আমি এখানে বাপ্পার অনুমতি নিতেই এসেছি। আর কারও অনুমতির প্রয়োজন নেই।" ছবি সৌজন্য: ফেসবুক)

প্রসঙ্গত, এর আগে কঙ্গনা রানাওত মুম্বইকে পাক অধিষ্ঠিত কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করে বিতর্কে জড়িয়ে ছিলেন। বলিউড ক্যুইন বলেছিলেন যে, তিনি মুম্বইয়ে নিরাপদ বোধ করেন না। (ছবি সৌজন্য: ফেসবুক)

এরপরে, মহারাষ্ট্রের সরকারের অনেক মন্ত্রী তাঁকে কটাক্ষ করেছিলেন। বিএমসি-র সঙ্গে কঙ্গনার বিবাদও খবরে রয়েছে এখনও। (ছবি সৌজন্য: ফেসবুক)

অন্যদিকে মুম্বইয়ের নিম্ন আদালত তাঁর আবাসন সংরক্ষণের আইনী মামলা খারিজ করে দেয়। বোম্বে আদালতের কাছে দ্বারস্থ হওয়ার জন্যে কঙ্গনাকে ছয় সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। (ছবি সৌজন্য: ফেসবুক)

সোশ্যাল মিডিয়াতে ইদানীং ধরা পড়ে কঙ্গনার আধ্যাত্মিক রূপ সম্প্রতি শেয়ার করেছিলেন তার মায়ের সঙ্গে একটি পুরনো ছবি তিনি লিখেছিলেন, "কয়েক বছর আগে আমি মাতাজীর সঙ্গে কাশী বিশ্বনাথ পরিদর্শন করেছি, সাতটি জ্যোতির্লিঙ্গ দেখেছি। আমি ২০২১ সালে কেদারনাথ যেতে চাই এবং আমার আটটি জ্যোতির্লিঙ্গ দর্শন করতে চাই, আগামী বছর আমিও পুরির জগন্নাথ মন্দিরেও যেতে চাই। আর আপনি?" (ছবি সৌজন্য: ফেসবুক)

কিছুদিন আগে একটি মন্দির তৈরি করেছেন কঙ্গনা। সেই ছবিও শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, "মা দূর্গা আমাকে বেছে নিয়েছিলেন তাঁর মন্দির নির্মাণের জন্যে..." (ছবি সৌজন্য: ফেসবুক)