প্রায় দেড় দশক ধরে বলিউডে অভিনয় করছেন কঙ্গনা রানাওয়াত। নবাগত থেকে বলিউডের ক্যুইন হয়েছেন। তবে এমনি হননি। লাগাতার নিজের চরিত্র এবং চেহারা নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করে গিয়েছেন কঙ্গনা। তারই ফসল ৪টি জাতীয় পুরস্কার। আজ তাঁর জন্মদিনে এক নজরে দেখে নিন তাঁর কেরিয়ারের সেরা ১০ ট্রাফর্মেশন।
ফ্যাশন
কেরিয়ার শুরু করেছিলেন অনুরাগ বসুর সিনেমা গ্যাংস্টার দিয়ে। প্রথম ছবিতেই নজর কেড়েছিলেন। ২ বছরের মধ্যে মধুর ভান্ডারকরের সিনেমা ফ্যাশন করে তিনি জাতীয় নজর নিজের দিকে ঘুরিয়ে দেন। ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির টপ মডেলের চরিত্রে অভিনয় করেন কঙ্গনা। তাঁর চলন-বলন সব কিছু একজন সুপারমডেলের মতো ছিল। খুব প্রশংসা পায় চরিত্রটি। সিনেমার জন্য প্রথম জাতীয় পুরস্কার পান তিনি।
তনু ওয়েডস মনু
২০১১ সালের সিনেমা তনু ওয়েডস মনু। সাধারণ ছোট শহরের মেয়ে হয়েও আলাদা চরিত্রের নারী তনু। সেই চরিত্রে নিজেকে পুরোপুরি গড়ে নিয়েছিলেন কঙ্গনা। মাধবনের সঙ্গে তাঁর জুটি দর্শকদের ভীষণ পছন্দ হয়। ইন্ডাস্ট্রির কোনও বড় নাম না থাকা সত্ত্বেও বক্স অফিসে দারুণ সফল হয় সিনেমাটি। একই সঙ্গে সমালোচকদের অকুণ্ঠ প্রশংসা পায়। এই ছবির জন্য দ্বিতীয়বার জাতীয় পুরস্কার পান কঙ্গনা।
ক্যুইন
২০১৪ সালে ফের একবার খবরের শিরোনামে তুলে আনে কঙ্গনা রানাওয়াতকে। বিকাশ বেহল পরিচালিত ছবিতে কঙ্গনা অন্য মাত্রার অভিনয় করেছেন। ছবিতে রাজকুমার রাও-সহ আরও অনেক ভালো অভিনেতা থাকা সত্ত্বেও কঙ্গনা কাউকে দাঁড়াতে দেননি। এই সিনেমার জন্য তৃতীয় জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন কঙ্গনা।
তনু ওয়েডস মনু রিটার্নস
প্রথম পার্টের মতো অত সফল না হলেও ডাবল রোলে কঙ্গনা অপ্রতিরোধ্য ছিলেন। তনু-র চরিত্রে তো ছিলেনই। সঙ্গে হরিয়ানার খেলোয়াড় কুসুম কুমারীর চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করেন। ভাষার অ্যাকসেন্ট শুনে কারও বোঝার সাধ্য ছিল না যে তিনি হরিয়ানার মানুষ নন! তার সঙ্গে মানানসই মেক-আপ।
সিমরন
২০১৭ সালে মুক্তি পায় সিমরন। ফিল্ম বিশেষ ভালো ফল করতে পারেনি। তবে কঙ্গনার অভিনয় ফের চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছিল।
রিভলভার রানি
ছবিতে একজন গ্যাংস্টারের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন কঙ্গনা। সিনেমায় তাঁর ম্যানারিজম, মেক-আপ, স্টাইল ফের একবার দর্শকদের মোহিত করে।
জাজমেন্টাল হ্যায় কেয়া
ক্যুইনের পর দ্বিতীয়বার রাজকুমার রাওয়ের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেন এই সিনেমায়। বক্স অফিসে বিশেষ ভালো করতে পারেনি সিনেমা। তবে কঙ্গনা নিজের চরিত্রে ভালোভাবে পাশ করেন।
মণিকর্ণিকা
কেরিয়ার তো বটেই ব্যক্তিগত দিক থেকে এই সিনেমা কঙ্গনার খুব কাছের। এই সিনেমায় তিনি পরিচালনাও করেন। নিজের প্রোডকশন হাউজ শুরু করেন। সিনেমায় ঝাঁসির রানির চরিত্রে অভিনয় করেন কঙ্গনা। চতুর্থবার সেরা অভিনেত্রীর জাতীয় পুরস্কার পান মণিকর্ণিকা এবং পাঙ্গা ছবির জন্য।
পাঙ্গা
রানি থেকে কবাডি খেলোয়াড়। যে কোনও জঁর-এ কঙ্গনা নিজেকে গড়েপিটে নেন। একজন চাকুরিরতা মায়ের কবাডি কোর্টে ফিরে আসার কাহিনি পাঙ্গা।