অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন সুশান্তের তৎকালীন গার্লফ্রেন্ড রিয়া চক্রবর্তী। ১৯৯২ সালে ১ জুলাই বেঙ্গালুরুতে বাঙালি পরিবারে জন্ম রিয়ার। বাবা সেনা অফিসার ছিলেন, তাই আর্মি পাবলিক স্কুলেই পড়াশোনা করেছেন রিয়া।
এম টিভি-তে সফল ভিডিও ছিলেন রিয়া। সেখান থেকেই ২০১২ তেলুগু ছবি তুনেগা তুনেগা-তে ডেবিউ করেন তিনি। ২০১৩ সালে মেরে ড্যাড কি মারুতি-তে বলিউড ডেবিউ করেন।
২০১৪ থেকে ২০২০-র মধ্যে আরও ৬টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন রিয়া। তাঁর শেষ ছবি চেহরে এখন মুক্তির অপেক্ষায়। সিনেমায় অমিতাভ বচ্চন এবং ইমরান হাশমিও রয়েছেন।
যশরাজ ব্যানারে সাকিব সেলিমের বিপরীতে বলিউডে পা রাখলেও রিয়ার অভিনয় দর্শকদের মন জয় করতে ব্যর্থ হয়। মেরে ড্যাড কি মারুতি বক্স অফিসে মাত্র ১২ কোটি টাকা রোজগার করেছিল।
মহিলা কেন্দ্রিক ছবি সোনালি কেবল-এ অভিনেতা আলি ফজলের বিপরীতে দেখা গিয়েছিল রিয়াকে। সিনেমা ঘিরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ছিল সমালোচক এবং দর্শকদের।
বলিউডের কঠিন প্রতিযোগিতার মধ্যে টিকে থাকার লড়াইয়ের মাঝেই করোনা, লকডাউন এবং সুশান্তের আত্মহত্যা রিয়ার জীবন ওলটপালট করে দেয়।
তাঁর ফিল্মি কেরিয়ারের জন্য তিনি যা লাইমলাইট পেয়েছিলেন, সুশান্তের মৃত্যুর ঘটনা অনেক বেশি করে তাঁকে খবরের শিরোনামে এনে দিয়েছিল। শুধু তিনি নন, তাঁর পুরো পরিবারকে ঘটনার জন্য যথেষ্ট সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। জেল পর্যন্ত যেতে হয়েছিল রিয়াকে। অনেকে বলেন, বিহার ভোট রাজনীতির শিকার হয়েছিল রিয়া। জনতার কাছে সিম্প্যাথি ভোট পাওয়ার জন্য রিয়াকে কাঠগড়ায় তোলা হল।
অন্য একাংশের মত, রিয়া আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছিলেন। কারও মতে সুশান্তের মৃত্যু আত্মহত্যা নয়, এর পিছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে এবং তাতে জড়িয়ে রয়েছেন রিয়া। নানা মুণির নানা মতের মাঝে মিডিয়া ট্রায়ালে তাঁকে ডাইনি থেকে রাক্ষসী বিভিন্ন অপবাদ শুনতে হয়েছে। তবে পরিবারের পাশ ছেড়ে কখনও যাননি রিয়া। না তাঁর বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনও প্রমাণ মিলেছে। সব কিছু ভুলে এগিয়ে যাওয়ার বার্তাই দিয়েছেন অভিনেত্রী।