চার বার বাংলাদেশের সেরা অভিনেত্রীর জাতীয় পুরস্কার। তার সঙ্গে এ দেশেরও একাধিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। তিনি দুই বাংলার অন্যতম ব্যস্ত অভিনেত্রী জয়া আহসান।
তাঁর বাবা মুক্তিযোদ্ধা এ এস মাসুদ এবং মা রেহানা মাসুদ ছিলেন একজন শিক্ষিকা। অভিনয় শুরুর আগে জয়া নাচ ও গানের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন।
অনেকেই জানেন না, অভিনেত্রীর পাশাপাশি তিনি সুগায়িকা। রবীন্দ্র সংগীতে ডিপ্লোমার সঙ্গে তিনি ক্লাসিকাল সংগীতেও প্রশিক্ষণ নিয়েছেন জয়া।
১৯৯৭ সালে বিজ্ঞাপনী ছবিতে টিভিতে মুখ দেখান জয়া। এখান থেকেই বাংলাদেশ টেলিভিশনের পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন। বহু ধারাবাহিকে তিনি সাফল্যের সঙ্গে অভিনয় করেছেন। ১৯৯৮ সালে মডেল অভিনেতা ফয়সাল আহসানকে বিয়ে করেন। ২০১২ সালে তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।
২০০৪ সালে ব্যাচেলর ছবিতে অতিথি শিল্পী হিসাবে বড় পর্দায় আসেন। এর পর ৬ বছর তিনি ছোট পর্দাতেই দাপিয়ে অভিনয় করেছেন। ২০১০ সালে ডুবসাঁতার এবং ২০১১ সালে ফিরে এসো বেহুলায় তিনি বড় পর্দায় অভিনয়ে নজর কাড়েন।
বাংলাদেশ মুক্তি যুদ্ধের উপর তৈরি নাসিরুদ্দিন ইউসুফ পরিচালিত ছবি গেরিলা তাঁকে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে রাতারাতি আলোকবৃত্তে তুলে আনে। সেরা অভিনেত্রীর ৬টি পুরস্কার জেতেন জয়া।
অরিন্দম শীল পরিচালিত আবর্ত ছবিতে প্রথমবার টলিউডে অভিনয় করেন জয়া। এই ছবির জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডে সেরা নবাগতা অভিনেত্রীর নমিনেশন পেয়েছিলেন।
পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবি রাজকাহিনি-তে তাঁর অভিনয় খুব প্রশংসিত হয়। তিনি টেলে সিনে অ্যাওয়ার্ডস-এ সেরা সহ-অভিনেত্রীর পুরস্কার জেতেন।
কিন্তু অভিনেত্রী হিসাবে তাঁকে এ দেশে প্রভূত জনপ্রিয়তা এনে দেয় কৌশিক গঙ্গপাধ্যায় পরিচালিত বিসর্জন। পদ্মা হালদারের চরিত্রে জয়া সেখানে অনবদ্য অভিনয় করেন। ছবির জন্য তিনি একাধিক জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পুরস্কার জেতেন।