প্রত্যেক বছর ঈদে সলমন খানের ছবি মুক্তি পাবে। এটা খানিকটা আহ্নিক গতি বার্ষিক গতির মতো নিয়মে পরিণত হয়েছিল। ভাইজান যেমন ফ্যানদের ঈদি দেন। তেমন ফ্যানরাও তাঁকে দুহাত ভরে ফেরতও দিয়েছেন বক্স অফিসের খাজানা। গত বছর করোনার জন্য ঈদে তাঁর ছবি মুক্তি পায়নি। তবে এ বছর সিনেমা হল এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্মে এক সঙ্গে মুক্তি পেয়েছে সলমনের রাধে। প্রায় ২ বছর ধরে এ ছবির জন্য প্রীক্ষায় ছিলেন তাঁর ফ্যানরা। করোনার কারণে ছবির ব্যবসা তেমন না হওয়ারই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সলমন এ জন্য আগাম হল মালিক এবং পরিবেশকদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন। গত ১১ বছর ধরে আরও একটি নিয়মেরও কোনও পরিবর্তন হয়নি। ঈদে মুক্তি পাওয়া সলমনের সব সিনেমা ১০০ কোটির ঘর অনায়াসে পার করে গিয়েছে। ২০১০ সাল থেকে এই রেকর্ড কায়েম রয়েছে ভাইজানের। কোনও কোনও ছবি ২০০-৩০০ কোটির ক্লাবেও পৌঁছে গিয়েছে। সলমনের এ রকম সিনেমার দিকে এখবার নজর দেওয়া যাক।
দাবাং
২০১০ সালে মুক্তি পায় দাবাং। এই সিনেমায় সোনাক্ষী সিনহার ডেবিউ হয়েছিল। আরবাজ খান প্রযোজনা করেছিলেন। বক্স অফিসে ছবিটি ২০০ কোটি টাকা রোজগার করেছিল।
রেডি
কমেডি ড্রামা ছবিটি ২০১১ সালে মুক্তি পায়। অনিস বাজমি পরিচালিত ছবিটি ১৮০ কোটি টাকা রোজগার করে।
বডি গার্ড
২০১১ সালেই মুক্তি পেয়েছিল বডিগার্ড। সলমনের সঙ্গে ছবিতে দেখা গিয়েছিল করিনা কাপুরকে। তার সঙ্গে বিশেষ চরিত্রে ছিলেন যুবরাজ সিময়ের স্ত্রী হেজেল কিচ। ছবিটি ২৩৪ কোটি টাকা রোজগার করেছিল।
এক থা টাইগার
২০১২ সালে মুক্তি পাওযা ছবি। সিনেমায় একজন RAW এজেন্টের ভূমিকায় ছিলেন সলমন। ক্যাটরিনা কাইফ ছিলেন তাঁর বিপরীতে। ৩০০ কোটি টাকার বেশি ব্যবসা করেছিল ছবিটি।
দাবাং ২
২০১২ সালে মুক্তি পায় দাবাংয়ের দ্বিতীয় ভাগ। এখানেও চুলবুল পাণ্ডে কামাল করেছেন বক্স অফিসে। ছবিটি ২৫০ কোটি টাকার বেশি ব্যবসা করে।
কিক
১০০ কোটি টাকা বাজেটের ছবি বক্স অফিসে ৪০০ কোটির ক্লাবে পৌঁছএ গিয়েছিল। ছবিতে সলমনের সঙ্গে ছিলেন জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ।
জয় হো
২০১৪ সালে মুক্তি পায় ছবিটি। সলমনের ভাই সোহেল খান পরিচালনা করেছিলেন। ১৯৫ কোটির ব্যবসা করে ছবিটি।
বজরঙ্গি ভাইজান
সলমনের কেরিয়ারে অন্যতম সেরা সিনেমা। কবীর খান পরিচালিত সিনেমাটি ৩০০ কোটি টাকার বেশি ব্যবসা করেছে বক্স অফিসে।
সুলতান
অনুষ্কা শর্মার সঙ্গে জুটি বেঁধে প্রথম সিনেমা সলমনের। কুস্তি নিয়ে তৈরি সিনেমাটি ৩০০ কোটির ক্লাবে সামিল হয়েছিল।