সলমন খান অভিনীত সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি 'রাধে' গত কয়েকদিন ধরেই আলোচনায় রয়েছে। সলমনের ছবিতে বডি ডাবলও ব্যবহৃত হয়েছে। সকলের প্রিয় ভাইজানের বডি ডাবল পারভেজ কাজী সেটের কয়েকটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন।
দেখতে প্রায় একই রকম। এক ঝলকে অনেকের গুলিয়ে যেতেও পারে যে আসল সলমন কে। আর এজন্যেই পারভেজ কাজী যথেষ্ট জনপ্রিয়। বহু ছবিতে তিনি অভিনেতার বডি ডবল হয়ে অভিনয় করেছেন। সম্প্রতি পারভেজ, একই পোশাকে পরা সলমনের সঙ্গে ছবি শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছবিগুলি মনে ধরেছে ভাইজান ফ্যানাদের। পারভেজ মুম্বইয়ের মীরা রোডের বাসিন্দা। গত সাত বছর ধরে এই কাজ করছেন তিনি। পারভেজের প্রথম ছবিটি ছিল 'প্রেম রতন ধন পায়ো'।
'রাধে' ছবির শ্যুটিং অভিজ্ঞতা নিয়ে পারভেজ বলেছেন, 'ঈশ্বরের কৃপায় 'রাধে'-র শ্যুটিং খুব ভাল হয়েছে। এটা সত্যিই ভাল লাগে যে আমি সলমন খানের সঙ্গে কাজ করি এবং তিনি আমায় সব সময় সুযোগ দেন। আমি ওঁর সঙ্গে কাজ করা খুব উপভোগ করি।"
'আমি যেখানেই যাই না কেন লোকেরা আমাকে সাড়া দেয়। তাঁরা দূর থেকে আমাকে দেখে কিছুটা বিভ্রান্ত হয়। আমি যখন বিমানবন্দর বা অন্য কোথাও যাই, অনেকে আমার দিকে ঘুরে ঘুরে তাকান। আমার মাঝে মাঝে লজ্জা লাগে যে তাঁরা এত সুন্দর এবং আমি তাঁদের সৌন্দর্যের দশ শতাংশও নই। অনেক সুপারস্টার রয়েছে, আমি যতই তাঁদের প্রশংসা করি না কেন তা কম হবে।"
তিনি আরও বলেন, 'আমি সলমনের সঙ্গে সাত-আট বছর ধরে কাজ করছি। প্রথম দিন থেকেই আমাকে তাঁরা পছন্দ করে। কখনও কখনও মজাও করে। একবার স্যার বলেছিলেন, 'আমাকে একটা কথা বলো পারভেজ, যখনই আমি আয়নার দিকে তাকাই, আমি ভাবি তুমি আমার মতো না আমি তোমার মতো দেখতে।' স্যারও অনেক সাক্ষাৎকারে আমার উল্লেখ করে, আমার প্রশংসা করেছেন। এটাই তাঁর মাহাত্ম্য।
পারভেজ নিজে সলমন খানের খুব বড় ভক্ত। বহু ছবিতে সলমন খানের বডি ডবলের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে 'দাবাং ৩','রেস ৩', 'টাইগার জিন্দা হে' এবং 'প্রেম রতন ধন পায়অ'-র মতো ছবিগুলিও।
পারভেজ যোগ করেন, 'সাত-আট বছর আগে আমি বান্দ্রায় একটি ছোট খাটো কাজ করতাম। এটি ব্র্যান্ড মার্চেন্ডাইজিংয়ের কাজ ছিল। আমাকে প্রতিদিন ট্রেনে করে মীরা রোড যেতে হতো। ১৩ বছর বয়স থেকেই লোকজন আমায় সাল্লু ভাই বলে ডাকতেন। এরপর সলমন স্যারের কাছে আমার ছবি পৌঁছায়। ছবিগুলি দেখে আমাকে কো-অর্ডিনেটর টিম ডেকেছিল।
"আমার প্রথম ছবিটি ছিল 'প্রেম রতন ধন পায়ো। আমার প্রথম দর্শনটি খুব স্মরণীয় ছিল। আমি খুব ছোট ছিলাম। স্যার প্রথম দিনেই বলেছিলেন, 'তুমি শুধু তোমার শরীরের যত্ন নেবে। আমি যেখানেই যাই না কেন, আমার সঙ্গে যেও। যেখানে লোকেরা দূরে দাঁড়িয়ে থাকে সলমনের এক ঝলকের অপেক্ষায়। সেখানে সেই মানুষটা আমাকে জীবিকার উৎস হিসাবে গড়ে তুলেছিল। কাজের শুরুতে আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। সব কিছুই রূপকথার মতো মনে হচ্ছিল।"
"আমার পরিবারে আমার মা এবং বাবা আছেন। আমি বিবাহিত এবং একটি মেয়ে আছে। আমি যখন বান্দ্রায় কাজ করতাম, তখন ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা বেতন পেতাম। এখানে আমি আটগুণ বেশি উপার্জন করি। পরিবারও খুব খুশি এবং সলমন স্যারের অনুগ্রহ আমি কখনই ভুলবো না।"