জনপ্রিয় ধারাবাহিক 'কৃষ্ণকলি' (Krishnokoli)-তে চলছে জমজমাট পর্ব। সবে রাধারানী ও তাঁর মা রুক্মিণীর ফাঁদ থেকে নিজেদের মেয়ে কৃষ্ণা ও জামাই অনিরুদ্ধকে রক্ষা করতে পেরেছে শ্যামা-নিখিল।
কিন্তু তাতেও বিপদ যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না চৌধুরী পরিবারের। একটা সংকট কাটতে না কাটতে আমার নতুন সমস্যা এসে হাজির হচ্ছে শ্যামা-নিখিলের জীবনে।
একদিকে কৃষ্ণার চলছে সঙ্গীতের মহাযুদ্ধের জোরদার প্রস্তুতি। সব সমস্যা কাটিয়ে এবার মঞ্চে পারফর্ম করবে সে। সকলের বিশ্বাস, বিজয়ীর শিরোপা উঠবে তাঁর মাথায়ই।
অন্যদিকে এতবছর জেলে থাকার পর বাড়িতে ফিরে এসেছে চৌধুরী পরিবারের মেজ ছেলে অশোক। আগের থেকে অনেকটাই বদলেছে অশোক ও দিশা। মেয়ে মুন্নিকে নিয়ে একই সঙ্গে থাকছে তাঁরা।
কিন্তু এই মুহূর্তে ফাঁড়া তাঁদের নিয়ে নয়! হঠাৎই সামনে এসেছে শ্যামা- নিখিলের জীবনের আরও এক সত্যি। শ্যামা জানতে পারে শুধু কৃষ্ণা নয়, আসলে তাঁদের আরও এক সন্তান আছে।
জন্মের পর শ্যামার সেই পুত্র সন্তানকে তাঁর অজান্তেই বিক্রি করে দেওয়া হয় বেনারস থেকে। যার খোঁজ এই মুহূর্তে কারও কাছে নেই।
এই কথা শুনে কার্যত ভেঙে পড়ে শ্যামা ও পরিবারের বাকিরাও। কীভাবে পাবে তাঁরা এত বছর আগে, তাঁদের হারিয়ে যাওয়া ছেলেকে?
ঠিক সেই সময়ে শ্যামার হাতে আসে একটি চিঠি ও তাঁর ছেলের ছোটবেলার ছবি। সে জানতে পারে বিক্রি করার আগে তাঁর ছেলের হাতে একটি ত্রিশূল উল্কি করে দেওয়া হয়েছিল।
সকলে সিদ্ধান্ত নিয়ে খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দেয় ঠিকই, কিন্তু বহু ভুয়ো মানুষ সেই সুযোগের অসৎ ব্যবহার করার চেষ্টা করে সেই সময়ে।
শ্যামা লিখিলের ছেলে মহাদেবকে তাঁরা খুঁজে পাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় লিখিলের বাবা বসন্ত চৌধুরীর। পরিবারে তৈরি হয় শোকের মহল।
'কৃষ্ণকলি'-র আগামী পর্বগুলিতে সেই সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে। সোম থেকে রবিবার প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় জি বাংলায় দেখা যাবে এই জনপ্রিয় ধারাবাহিক।