কিং অফ রোম্যান্স - রুপোলি পর্দায় শাহরুখ ম্যাজিকই তাঁকে এই খেতাব দিয়েছে। দর্শকমনে জায়গা করে নিয়েছে তাঁর চরিত্ররা। নব্বইয়ের কিশোররা, যৌবনের হাত ধরেছে শাহরুখ দর্শন মেনেই।
২৮ বছরের হিরোইজমের শুরুটা হয়েছিল দিওয়ানা ছবিতেই। জীবনের ৫৫ তম বসন্ত আজও তিনি সোশাল মিডিয়ার টপ ট্রেন্ডিং, শাহরুখ উবাচ ভক্তদের কাছে নমস্য কিংবা দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে আধিপত্য কায়েম, প্রকৃত অর্থেই তিনি কিং খান।
দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে, মহব্বতে, কুছ কুছ হোতা হ্যায়- শাহরুখের প্রেমের কাহিনি তো গুনে শেষ করা মুশকিল। কিন্তু তাই বলে নন-রোম্যান্টিক ছবিতে কি তিনি ব্রাত্য? মোটেই না
ডর ছবিতে বলিউড বাদশাকে মনে আছে নিশ্চয়ই। গুটিকতক ভিলেনের চরিত্র পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন শাহরুখ, যশ চোপড়ার এই ছবি তার মধ্যে অন্যতম। এখনও তাঁর কেরিয়ার পর্যালোচনায় উঠে আসে ডর।
আশুতোষ গোয়ারিকরের স্বদেশ। নাসার বিজ্ঞানী তার ঠাকুমাকে আমেরিকা নিয়ে যেতে এসেছিল হঠাৎ একাত্ম হয়ে পড়ে তার নিজের ছোট্ট গ্রামের প্রতি। সেখানকার মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয়তার প্রতি। ফিল্মফেয়ারে সেরা অভিনেতাও পুরস্কার প্রাপ্য হয় স্বদেশ-এর জন্যই।
বছর ১৩ পেরিয়ে গিয়েছে কিন্তু চক দে ইন্ডিয়ার কোচ শাহরুখকে ভুলতে পেরেছে কি! ছবিতে লিঙ্গবৈষম্য ও জাতিবাদের বিরুদ্ধে কোচ কবীর খান আওয়াজ তুলেছিল। বাদশার সত্তর মিনিট-এই জনপ্রিয় সংলাপ কোনও অংশে রোম্যান্টিক সংলাপগুলোর থেকে কম আকর্ষণীয় ছিল না।
তারপর আসে করণ জোহরের মাই নেম ইজ খান। জঙ্গী আক্রমনে দেশের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা বেড়াজালে পড়ে যাওয়া সাধারণ মানুষের কাহিনি। রিজওয়ান খান-এর থেকে ভাল করে আর কেই বা ব্যক্ত করত। আমেরিকার প্রসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করতে যাবে রিজওয়ান শুধু এটা বলতে যে তার পদবি খান এবং তিনি জঙ্গি নন।